লন্ডনে বাড়িভাড়া গত ২ বছরের মধ্যে প্রথম হ্রাস পেয়েছে
স্পেয়াররুম বলেছে, লন্ডনে একটি কক্ষের ভাড়া ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারীর পর এই প্রথমবারের মতো হ্রাস পেয়েছে। গত দুই মাস উপর্যুপরি এই হ্রাস ঘটেছে। ২০২৩ সালের অর্থ্যাৎ গত বছরের ডিসেম্বরে লন্ডনে গড় রুম ভাড়া ছিলো ২০১৯ পাউন্ড, যা এই বছর ভাড়াটেদের অবস্থার উন্নতির একটি পূর্ব লক্ষন। যা-ই হোক, ২০২৩ সালের জানুয়ারীতে সামগ্রিক অর্থ্যাৎ দেশব্যাপী স্পেয়াররুমের মাসিক গড় ভাড়া ছিলো ৯৫২ পাউন্ড।
গত বছর আগষ্টে লন্ডনে মাসিক রুম ভাড়া ১ হাজার পাউন্ডের সিলিং বা নির্ধারিত মূল্যসীমা ভঙ্গ করে। অক্টোবরে তা গিয়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩০ পাউন্ডে। কিন্তু এরপর দুই মাসে তা হ্রাস পায়। স্পেয়াররুম সংস্থার বিজ্ঞাপন থেকে এটা প্রতীয়মান হয়। স্পেয়াররুম আরো জানিয়েছে, রুম বা কক্ষের জন্য প্রতিযোগিতাকারী ভাড়টেদের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
সংস্থাটির পরিচালক ম্যাট হাচিনসন বলেন, ভাড়া প্রদানকারীদের জন্য চিত্রটি অবিশ্বাস্য রকমের করুণ। আমাদের আশা, মার্কেটের এই কিঞ্চিৎ শীতল অবস্থা কেটে যাবে। রীতি মাফিক জানুয়ারী মাসে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এমনটি ঘটেছে।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএস) অনুসারে, ২০২৩ সালে প্রাইভেট ভাড়া প্রায় ৭ শতাংশ বেড়ে যায়, যা রেকর্ড শুরুর পর থেকে সর্ববৃহৎ বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধি। হ্যাম্পটন্স এর এক গবেষনায় দেখা গেছে, লন্ডনের বাসিন্দারা ভাড়ার পেছনে ২০২৩ সালে রেকর্ড ভঙ্গকারী ৩২.১ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেছেন। এটা ঐ বছর বিক্রি হওয়া সকল বাড়ির মূল্যের সমান।
জুপলা’র পরিসংখ্যান অনুসারে, ভাড়াটেরা তাদের আয়ের ৪০ শতাংশেরও বেশী বাড়িভাড়ার জন্য ব্যয় করেন। যখন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিলো যে, ২০২৪ সালে ভাড়া আরো ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। স্যাভিলস্ বলেছে, লন্ডন এক্ষেত্রে সাধ্যের সীমানা ছাড়িয়েছে। তবে পূর্বাভাস দিয়েছে, নগরীতে ভাড়া আরো ৫ শতাংশ বাড়তে পারে।