ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলা মানবতার জন্য একটি পরীক্ষা
অধিকৃত ফিলিস্তিনের জনগন দক্ষিণ আফ্রিকা কর্তৃক আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আনীত গনহত্যার অভিযোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এই অভিযোগ দায়ের গাজায় সামরিক হামলার জন্য ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার একটি সুযোগ।
অপরদিকে এই অভিযোগ দায়েরের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরাইল। তারা এটাকে ‘প্রচন্ড বিকৃত’ আখ্যায়িত করে বলেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার এই উদ্যোগ গাজায় হামাসের তৎপরতার বিরুদ্ধে তাদের অভিযান থামিয়ে দেয়ার প্রয়াস, যা তাদেরকে প্রতিরোধহীন করবে।
কিন্তু অনেক ফিলিস্তিনীর নিকট এই অভিযোগ ঐতিহাসিকভাবে ইসরাইল কর্তৃক তাদের মৌলিক অধিকারসমূহ দমিয়ে রাখার বিষয়টির প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষনের প্রতিনিধিত্ব করছে। তাই পশ্চিম তীরের অনেক নগরীতে দক্ষিন আফ্রিকার পতাকা উড়ছে।
রামাল্লার নেলসন ম্যান্ডেলা স্কোয়ারে এক সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে ফিলিস্তিনী প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়েহ বলেন, ফিলিস্তিনী জনগনের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের ওপর নির্মিত হয়েছে ইসরাইল। এই সমাবেশে শীতকালীন বৃষ্টি উপেক্ষা করে জড়ো হওয়া মিছিলকারীরা উচ্চস্বরে শ্লোগান দেন: ধন্যবাদ তোমাকে দক্ষিন আফ্রিকা।
ইসরাইল বলেছে, তারা হামাসকে উচ্ছেদ করতে বিমান ও স্থলপথে হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনী স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিমান থেকে ইসরাইলী বোমা বর্ষনে ২৩ হাজার ৪ শ’ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। প্রায় ৭ হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ। ধ্বংসস্তুপের নীচে তারা চাপা পড়ে আছেন বলে আশংকা করা হচ্ছে।
ইসরাইল বলেছে, আন্তর্জাতিক আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা ‘গনহত্যা’ শব্দটিকে হাতিয়ারে পরিনত করার প্রয়াস। এটা জনৈক পোলিশ ইহুদীর বর্ণিত শব্দ, যে ইউরোপে ইহুদীদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দুটো নাৎসী হলোকাস্ট দেখেছে, এটা ইসরাইল রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে অবৈধ করে তুলে এবং হামাসের দায়দায়িত্বের প্রতি গুরুত্বহীনতা প্রদান করে।