ব্রিটেনের অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশী বৃদ্ধি পাবে
যুক্তরাজ্যের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএস) অনুসারে, নভেম্বরে দেশটির অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশী বিকশিত হয়েছে। এতে এমন আশা দেখা দিয়েছে যে, ব্রিটেন ২০২৪ সালে মন্দা এড়াতে সক্ষম হবে। ওএসএস এর পরিসংখ্যান অনুসারে, গত নভেম্বরে জিডিপি বৃদ্ধি পায় ০.৩ শতাংশ। এর আগে অক্টোবর মাসে এটা হ্রাস পেয়েছিলো ০.৩ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা জিডিপি ০.২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছেন, যেহেতু দেশটি বছরের শেষে একটি মন্দায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে। চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট এই সংবাদকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এই বলে জোর দিয়েছেন যে, ব্রিটেন ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধির জন্য একটি শক্তিশালী অবস্থানে আছে। অপরদিকে বিরোধী দলসমূহ এবং ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ মলিন প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানের সমালোচনা করেছেন এবং বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ‘অর্থনীতি একটি ইতিবাচক বাঁক নিয়েছে’ বলে দাবিটি বাস্তব অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন নয়।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন, ইতোপূর্বে প্রবৃদ্ধির এই উর্ধ্বমুখিনতার পেছনে কাজ করেছে সুদূর বিস্তৃত সার্ভিস খাত, যা ঐ মাসে ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং এটা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে বড়ো নিয়ামক। এর পরে অক্টোবরে এসেছে অর্থনীতির সংকোচন, যখন খারাপ আবহাওয়ার দরুন ম্যানুফ্যাকচারিং ও নির্মান খাতগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওএনএস এর প্রধান নির্বাহী গ্রান্ট ফিটজনার বলেন, নভেম্বর মাসে জিডিপি ঘুরে দাঁড়ায়, যদিও এ সময়ে রিটেইল সার্ভিস, কার লিজিং ও কম্পিউটার গেইম কোম্পানীসমূহে একটি বায়বীয় অবস্থা ছিলো বিদ্যমান। চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট আরো বলেন, নভেম্বরের প্রবৃদ্ধি যখন একটি শুভ সংবাদ, তখন তা অপেক্ষাকৃত ধীরগতির হবে কারন আমরা মূল্যস্ফীতিকে পূর্বের ২ শতাংশে নিয়ে আসবো।
তিনি আরো বলেন, অবশ্য আমরা দেখেছি যে, স্বল্প কর সম্বলিত অগ্রসর অর্থনীতিগুলো অধিকতর দ্রুত বিকশিত হয়েছে, তাই আমাদের ব্যবসা ও শ্রমিকদের জন্য কর কর্তন যুক্তরাজ্যকে এমন একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে, যা ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়ক হবে।