আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার মামলায় শংকিত ইসরাইল
দক্ষিণ আফ্রিকা কর্তৃক আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গনহত্যার অভিযোগ উত্থাপনের পর শংকিত হয়ে পড়েছে দখলদার দেশটি। গত শনিবার তুরস্কের ইস্তান্বুল রুমেলি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি, প্রশাসনিক ও সমাজ বিজ্ঞান ফ্যাকাল্টির গবেষক ও প্রচারকর্মী জেকি আরিতুর্ক উপরোক্ত মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষাবিদ জেকি আরিতুর্ক আরো বলেন, জাতিসংঘের বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) কর্তৃক ‘রোম স্ট্যাটিউট’ নামক চুক্তি সম্পাদিত হয়। যার আলোকে ১ জুলাই, ২০০২ তারিখে কিংবা এর পরে সংঘটিত গনহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ কিংবা যুদ্ধকালীন অপরাধের বিচারকার্য সম্পন্ন করে এই আদালত। একটি স্টেট পার্টি ন্যাশনাল কর্তৃক কিংবা স্টেট পার্টির আঞ্চলিক এলাকায় সংঘটিত অপরাধসমূহের বিচার করে এই আদালত। আইসিসি’র সদর দফতর নেদারল্যান্ডের রাজধানী হেগ- এ অবস্থিত।
আরিতুর্ক বলেন, এর আগেও ইসরাইলের বিরুদ্ধে এধরনের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিলো ২০০২ সালের ২৭ ডিসেম্বর গাজায় ইসরাইলী হামলার পর। ‘অপারেশন কাস্ট লীড’ নামে এই অভিযান চালানো হয়েছিলো। ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ইসরাইলের অপরাধের প্রমানাদি দাখিল করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কোন অগ্রগতি হয়নি। এমনকি ইসরাইলের সংঘটিত অপরাধসমূহের সকল প্রমান দাখিল করা সত্বেও আইসিসি ইসরাইলের লবিইংয়ের কারনে অগ্রসর হতে পারেনি। আরিতুর্ক দু:খ প্রকাশ করে বলেন, এখন পর্যন্ত কোন আন্তর্জাতিক আদালত ইসরাইল রাষ্ট্র দূরে থাক, ইসরাইলের কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিচারকার্য পরিচালনা করেনি।
তিনি বলেন, কোথাও তাদের বিচার হতে পারবে না। এজন্য তিনি ইসরাইলকে সমর্থনকারী আন্তর্জাতিক কুশিলবদের ভূমিকাকে দায়ী করেন। তারাই ইসরাইলকে সবকিছু থেকে দায়মুক্তি দিয়েছে। অতীতের কোন অপরাধের জন্যই তাদের বিচার হয়নি।
কিন্তু তাদেরকে বিশ্ব জনমতের বিবেকের সম্মুখে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ফলে তারা এখন এক অবিশ্বাস্য পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। দেশটি বহু আন্তর্জাতিক অপরাধ, ধর্ষন, শিশু হত্যা, বেসামরিক জনগনকে হত্যা করেছে, এমনকি অনেক বেসামরিক লোকজন ও সামরিক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তারা এসব অপরাধ করেছে। বিপাকে পড়ে এখন তারা তাদের পক্ষে প্রোপাগান্ডা বা প্রচারনা বৃদ্ধির ও কারসাজির জন্য, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিন ‘গুগল’কে বিপুল অর্থ ঘুষ দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।