সরকারী সংস্থা ও কাউন্সিলগুলো ঋনের বিষয়ে বেশী কঠোর

সরকারী সংস্থা ও ফাউন্ডেশনসমূহ ঋনের ব্যাপারে ব্যাংকের চেয়েও অধিক আগ্রাসী। যেসব লোক ঋন পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছেন, তাদের সাথে আচরনে সরকারী সংস্থা ও কাউন্সিলগুলো জটিল ও আগ্রাসী। এমন দাবি বা অভিযোগ তিনটি শীর্ষ সহায়ক সংগঠনের।
সম্প্রতি ফাইন্যান্সিয়েল এডভাইস গ্রুপ সিটিজেন্স এডভাইস এন্ড দ্য ডেট চ্যারিটিজ, স্টেপচেঞ্জ এবং ক্রিশ্চিয়ান্স এগেইনস্ট পোভার্টি বিশেষভাবে সমালোচনাপ্রবণ ও কাউন্সিল সমূহও খুঁতখুঁতে প্রকৃতির তাদের ঋন সংগ্রহ অনুশীলনের ব্যাপারে।
সংগঠনসমূহ ট্রেজারি কমিটির সদস্যদের সাথে ঋন পরামর্শের জন্য বর্তমান চাহিদা নিয়ে আলোচনা করছিলো, যখন জীবনযাত্রার সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবে কি-না এ নিয়ে উদগ্রীব। যাদের সাথে আচরণ মুশকিল এমন ঋনদাতা ও ক্রেডিটারদের নাম জানতে চাওয়া হলে স্টেপচেঞ্জ এর চীফ ক্লায়েন্ট অফিসার রিচার্ড লেইন বলেন, যে ধরনের ঋনের বিষয়ে আমাদের গ্রাহকদের সমস্যা হয়েছে বলে উপস্থাপিত হচ্ছে, তা হচ্ছে আসলে সরকারী ঋন। এই শ্রেনীর ঋনের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে, কাউন্সিল ট্যাক্স এরিয়ারস, চাইল্ড মেইনটিন্যান্স, বেনিফিট ওভার পেমেন্ট এবং রাজস্ব ও শুল্ক বিভাগের কাছে পাওনা কর।
লেইন আরো বলেন, ঋন সংগ্রহ অনুশীলনের বিষয়ে জাতীয় ও স্থানীয় সরকারগুলোর প্রাইভেট খাতের উত্তম কার্যক্রম থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। ঋন পরামর্শক সংস্থা ‘ক্রিশ্চিয়ান্স এগেইনস্ট পোভার্টি’ এর সোশ্যাল পলিসি ম্যানেজার কিরি অ্যাডামস্ বলেন যে, কাউন্সিল ট্যাক্সের বিষয়ে বলতে গেলে, যদি কেউ অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয় এবং ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারে, তবে তার পুরো বছরই বকেয়া থেকে যাবে।
তিনি বলেন, সরকারের একটি সমস্যা হচ্ছে, কর্তনের আগে আসলে সাধ্যের বিষয়টি পরীক্ষা করা হয় না। আপনার আয়ের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কর্তন হতে পারে, যা আকস্মিকভাবে হলে একটি রুঢ় বাস্তবতার প্রকাশ ঘটে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button