১ মাসের জেল ও ১ হাজার পাউন্ড জরিমানা
মুখোশ পরা বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের জন্য নতুন ক্ষমতা
ফিলিস্তিনীদের সমর্থনে বিক্ষোভ জোরদার হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিক্ষোভকালে মুখোশ পরিধান আইনত: নিষিদ্ধ হবে। পুলিশ সেইসব বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করতে পারবে যারা নিজেদের পরিচয় গোপন করতে মুখাবরণ ব্যবহার করবে। গত ৭ ফেব্রুয়ারী ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বেশ কিছু পদক্ষেপের অংশ হিসেবে উপরোক্ত পদক্ষেপের কথা ঘোষনা করেন।
এসব পদক্ষেপ বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভকালে আতশবাজি, ফ্লেয়ার কিংবা প্রোটোটেকনিক ইত্যাদি নিয়ে আসা এবং ওয়ার মেমোরিয়েলে আরোহনকে বেআইনী ঘোষনা করবে। এছাড়া আত্মরক্ষা হিসেবে মানবাধিকার ব্যবহারের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতেও এসব পদক্ষেপ বারিত করবে।
মি: জেমস ক্লেভারলি আরো বলেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভগুলোতে একটি ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু অংশকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সংখ্যাগরিষ্ট লোকজনের প্রতি ক্ষয়ক্ষতি ও ভীতি প্রদর্শনে নিয়োজিত হতে দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশ বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার বিষয়ে শীর্ষে রয়েছে। তবে শোভাযাত্রায় ফ্লেয়ার নিয়ে এসে ক্ষতি করা ও বিঘ্ন ঘটানো প্রতিবাদ হতে পারে না, এটা বিপজ্জনক। তাই আমাদের রাস্তাসমূহে এধরনের অপরাধ প্রতিহত করতে আমরা পুলিশকে ক্ষমতা প্রদান করছি।
১৯৯৪ সালের ক্রিমিনাল জাস্টিস এন্ড পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট এর অধীনে যেখানে অফিসাররা বিক্ষোভকারীদের মুখাবরন বা মুখোশ খোলার দাবি করতে পারেন, সেখানে এই আইন প্রয়োগে পুলিশের ক্ষমতা রয়েছে ১৯৯৪ সালের ক্রিমিনাল জাস্টিস অ্যান্ড পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট এর অধীনে। এই আইনের ৬০ নং ধারা পুলিশকে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় এই মর্মে একটি আদেশ জারি করতে ক্ষমতা দেবে যে, যেখানে তাদের মতে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার হুমকি রয়েছে, সেখানে মুখোশ অপসারণের দাবি জানাতে পারবেন তারা। এই নতুন আইনে আইন লংঘনকারীকে গ্রেফতার এর সঙ্গে তাদের আদেশের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনকারীদের এক মাসের কারাদন্ড ও ১ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা যাবে।
ইহুদী বিরোধী অপব্যবহার ও সহিংসতা উস্কে দিতে নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে বিক্ষোভকারীরা মুখোশ ব্যবহার করছে, এমন উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা লর্ড ওয়ালনি মুখোশ সমস্যা মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপের সুপারিশ করেছেন।