‘চরম হতাশার বিষয় হচ্ছে গাজা যুদ্ধ বন্ধের কোন ক্ষমতা আমার নেই’
সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস গাজা যুদ্ধ বন্ধে তার ব্যর্থতার ব্যাপারে গভীর দু:খ প্রকাশ করে বলেছেন, অন্তত: আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি জনগনের শ্রদ্ধার পরিবেশ সৃষ্টি করতে আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি আরো বলেন, এতো ব্যাপক মাত্রার দুর্ভোগ দেখতে গিয়ে এবং এটা বন্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই এটা জেনে আমি সবচেয়ে বেশী হতাশ বোধ করছি। তবে এটাই বাস্তব। এটা বন্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার স্বর উঁচু করতে পারি এবং আমি তা করি। আমি মাঝে মাঝে একত্রিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানাই। কিন্তু লোকজনের একত্রিত হওয়ার জন্য ইচ্ছুক হওয়া উচিত। তবে সবচেয়ে বড়ো হতাশার বিষয় হচ্ছে, এই সংঘাত বন্ধের জন্য যে ক্ষমতা থাকা দরকার, তা আমার নেই কিংবা অন্তত: সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ক্ষমতাটুকুও আমার নেই, যেখানে জনগন আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে।
চলতি বছরের জন্য তার আলোচ্য অগ্রাধিকারসমূহের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে তার বার্ষিক প্রেস কনফারেন্সে তিনি এই বলে সতর্কবানী উচ্চারন করেন যে, যদি ইসরাইল গাজার দক্ষিনাঞ্চলে সংঘাত সম্প্রসারিত করার অভিপ্রায় থেকে সেই পন্থা অনুসরন করে, তবে সেখানে এক বিরাট ট্রাজেডী সংঘটিত হতে পারে, যেখানে ১০ লাখেরও বেশী ফিলিস্তিনী আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গাজার অর্ধেক জনসংখ্যা এখন রাফায় গিয়ে ভিড় করেছে। তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। তাদের কোন বাড়িঘর নেই এবং তাদের আশাও নেই। মহাসচিব গুতেরেস আবারো অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
এছাড়া তিনি জিম্মিদের নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে একটি দ্বিরাষ্ট্রিয় সমাধানের জন্য বাস্তব, দৃশ্যমান, নিরেট পদক্ষেপ গ্রহনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি ইসরাইল সরকারের নীতিমালার সাথে অসম্মতির বিষয়টি তুলে ধরে বসতি নির্মানসহ আরো বেশ কিছু পদক্ষেপের সাথে দ্বিমত প্রকাশ করেন, যেগুলো একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের ক্ষুন্ন করছে।