বিরোধী দলীয় নেতার প্রস্তাবকে বিবেচনায় নেবে সরকার : ব্রিটিশ হাইকমিশনারের আশা

Gibsonবিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার প্রস্তাবকে সরকার বিবেচনায় নেবে বলে আশাবাদ করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বলেছেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষকে নিশ্চিত করতে এবং সব দলের অংশগ্রহণে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে শিগগির অর্থপূর্ণ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি। অন্তবর্তী সরকারে অংশ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতের খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রস্তাবের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গিবসন বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিরোধী দলের নেতার বক্তব্যে অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে যাকে আমরা স্বাগত জানাই। বিরোধী দলীয় নেতা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি ব্যক্তিগত আক্রোস এবং অতীত নিয়ে দোষারোপের রাজনীতির পরিবর্তে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার যে অঙ্গিকার করেছেন তা প্রশংসাযোগ্য। হাইকমিনার আশা করেন সব পক্ষ সমঝোতা ও আস্থার চেতনায় সংলাপের দিকে এগিয়ে যাবে। একইসাথে সহিংসতা ও হয়রানির থেকে বিরত থেকে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সংলাপ চালিয়ে যাবেন। এর আগে রোববার প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে সৃষ্ট সুযোগকে কাজে লাগাতে খোলা মন নিয়ে আলোচনার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে গিবসন বলেন, এ ভাষণের মধ্য দিয়ে মনে হয়েছে সংলাপের দরজা খোলা রয়েছে। এই সুযোগ আঁকড়ে ধরতে, সুদৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা করতে, নমনীয়তা দেখাতে এবং সবকিছুর আগে দেশের স্বার্থকে সমুন্নত রাখতে দলগুলোর প্রতি আমরা আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ধরন বা গঠন কী হওয়া উচিত তা নিয়ে নির্দেশনা দেয়া যুক্তরাজ্যের কাজ নয়। যা দরকার তা হলো – নির্বাচন প্রক্রিয়ার নিরপেতা এবং বাংলাদেশের জনগণ যাতে নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী সরকার নির্বাচন করতে পারে তা নিশ্চিত করা। ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য বহু আগেই পরিষ্কার করেছে যে, টেকসই সমঝোতার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপে নির্বাচন দেখতে চায় দেশটি, যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে। এরকম একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমরা সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপকে উৎসাহিত করেছি। ঢাকায় সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকার কথা জানিয়ে তিনি আশা করেন, এটা অন্তর্বর্তী প্রশাসনের বিষয়ে ঐকমত্য অর্জনের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে না। সব পই সংযমের সঙ্গে কাজ করবে এবং সহিংসতামূলক কাজকে নিরুৎসাহিত করতে সম্ভাব সবকিছুই করবে বলে যুক্তরাজ্য আশা করে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button