জনগণের নাভিশ্বাস
ব্রিটিশ গ্যাস’র মুনাফা একবছরে ৭২ মিলিয়ন থেকে ৭৫১ মিলিয়ন পাউন্ড
যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের সাধারন মানুষ যখন জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা, তখন ব্রিটিশ গ্যাস নামক প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক মুনাফা দশগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রিটিশ গ্যাস এর প্যারেন্ট কোম্পানী সেন্ট্রিকা প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটির গৃহস্থালী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহে জ্বালানী সরবরাহকারী এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মুনাফা ২০২৩ সালে এক লাফে ৭৫১ মিলিয়ন পাউন্ডে উন্নীত হয়। এক বছর আগে এই মুনাফার পরিমান ছিলো মাত্র ৭২ মিলিয়ন পাউন্ড। ব্রিটিশ গ্যাসের প্যারেন্ট কোম্পানী ইতোমধ্যে তার শেয়ার হোল্ডারদের আবারো ১৪৪ মিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধের ঘোষনা দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের সাধারন মানুষ যখন জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, তখন জ্বালানী রেগুলেটর ‘অফগেম’ জ্বালানীর মূল্যক্যাপ বা শেষসীমা বৃদ্ধি করে এবং কিছু মূল্যবৃদ্ধি পুনরায় ফিরে পাবার অনুমতি প্রদান করে কোম্পানীকে। কোম্পানিটি এতোদিন জ্বালানীর সংকট কালে পাইকারী মূল্যের চেয়ে কম দামে ১ কোটি গ্রাহককে জ্বালানী সরবরাহ করে আসছিলো। এসময় সরবরাহকারীদেরকে মূল্যবৃদ্ধির জ্বালাতন থেকে সুরক্ষা দিতে হচ্ছিলো। তখন কভিড-১৯ এর লকডাউন ও ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসনের ফলে জীবনযাত্রার সংকট বৃদ্ধি পেয়েছিলো।
প্রাইস ক্যাপ বৃদ্ধি এবং এর ফলে ব্রিটিশ গ্যাসের মুনাফা বৃদ্ধির ফলে ২০২৩ সালে সেন্ট্রিকার করপূর্ব মুনাফা দাঁড়ায় ৬.৫ বিলিয়ন পাউন্ড। অথচ এর আগের বছর তার ক্ষতি ছিলো ২৪০ মিলিয়ন পাউন্ড। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ক্রিস ও’ শিয়া বলেন, মূল্য পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা ব্রিটিশ গ্যাসকে শুধু বছরের প্রথম ছয় মাস মুনাফা করতে সহায়তা করেছে এবং ২০২৩ সালের শেষ ৬ মাসে ডিভিশন ২০০ মিলিয়ন স্পর্শ করে। তিনি কোম্পানীর বাকী মুনাফার বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, এটা সেন্ট্রিকাকে তার শেয়ার হোল্ডারদের ১৪৪ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি চূড়ান্ত ডিভিডেন্ড প্রদানে সক্ষম করে।
তিনি বলেন: আমি আগে এটা বলেছিলাম এবং আমি কোম্পানীগুলোকে এটা আবার বলার সুযোগটুকু নিতে চাই যে, টেকসই হিসেবে তুমি অবশ্যই মুনাফা করবে। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। কারন, গত ক’বছর যাবৎ অন্যান্য জ্বালানী সরবরাহকারীরা ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাজ্যের প্রত্যেক ভোক্তাকে ৮৮ পাউন্ড পরিশোধ করতে হচ্ছে। যদি আরো কোম্পানী ব্যর্থ হয় তবে এ জন্য পরিশোধ করতে হবে গ্রাহককে।