ব্রিটিশ পত্রিকায় প্রবাসী সিলেটিকে নিয়ে প্রতিবেদন

Bishwaব্রিটেনে আলোচিত সিলেটের প্রবাসী বদরুল আমিন। তিনি সেখানকার পুরনো মেডিকেল সরঞ্জাম দেশে এনে বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিকে দান করেন। বিশেষ করে তিনি এসব দান করেন সিলেট অঞ্চলে। তাকে নিয়ে বৃটেনের উইলট্‌সগ্লোসস্ট্যান্ডার্ড (wiltsglosstandard.co.uk) পত্রিকায় সচিত্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পুরনো মেডিকেল সরঞ্জামের সদ্ব্যবহার করছেন তিনি। তিনি বৃটেনের পুরনো মেডিকেল সরঞ্জাম কিনে নেন। তারপর যত তাড়াতাড়ি পারেন তা হস্তান্তর করেন বাংলাদেশে। এক দশকেরও বেশি সময় বদরুল আমিন তার নিজস্ব অর্থ ব্যায় করে এসব সরঞ্জাম কেনেন। এগুলো জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম। এর মধ্যে রয়েছে কার্ডিয়াক মনিটর, নাক, কান ও গলা ডায়াগনোস্টিক কিট। এগুলো তিনি দারিদ্র্যপীড়িত তার জন্মভূমিতে দান করেন। এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম ম্যালমেসবারিতে হিলডিচে নিলামে ওঠে। সেখান থেকে তিনি তা কিনে নেন। স্বাস্থ্যসেবাকে আধুনিকায়ন করতে তিনি রাষ্ট্রয়ি হাসপাতালগুলো পরিদর্মণ করেন ও মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করেন। এসব কাজ করে তিনি সবেমাত্র ফিরেছেন বৃটেনে। ১১ই জুলাই প্রকাশিত ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, তিনি যে সিলেটে জন্মেছেন সেখানে সিলেট মেডিকেল কলেজে সমপ্রতি ষষ্ঠবারের মতো এসব সরঞ্জাম দান করেছেন। টিনা রবিনসের লেখা ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চার সন্তানের পিতা বদরুল আমিন বলেছেন, পরিবারের সদস্যরা যদি তাকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা না করতো তাহলে তার পক্ষে এই মানবিক কাজ করা সম্ভব হতো না। এতে অবদান রয়েছে তার মেয়ে সায়মা ও রহিমার। এর মধ্যে সায়মা হলোন ইমপেরিয়য়াল কলেজ ও সেন্ট মেরিস হাসপাতালের বায়োমেডিকেল বিজ্ঞানী। রহিমা হলেন রেডনক স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। বদরুল আমিন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, পরামর্শ ও সমর্থন আমি পেয়েছি সন্তানদের কাছ থেকে। আমার পরিবারের অন্য সিনিয়র পর্যায়ের চিকিৎসক সদস্যরাও আমাকে সহায়তা করেছেন। তারা ১৫ বছরের ওপর এ বিষয়ে আমাকে সহায়তা করে যাচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলর ও এমপি জেমস গ্রের প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন, তার কাছ থেকে তিনি পেয়েছেন অনেক উৎসাহ। সর্বশেষ যে সরঞ্জাম হস্তান্তর করেছেন তার ব্যবহার বিষয়ে এক ভাতিজি তাকে সহায়তা করেছেন। ওই ভাতিজিও একজন চিকিৎসক।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button