সন্দেহভাজন ব্যক্তি ৩০ লাখ পাউন্ড আত্মসাত করে ভারতে পলাতক
হিথ্রো বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস
যুক্তরাজ্যের হিথ্রো এয়ারপোর্টে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ-এর জনৈক সুপারভাইজার অর্থের বিনিময়ে যুক্তরাজ্য থেকে কানাডায় মানুষ পাঠিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। বিনা ভিসায় অর্থ্যাৎ ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) আছে বলে মিথ্যাচারের মাধ্যমে লোকজনকে ভ্রমনের সুযোগ করে দিয়ে সে ইতোমধ্যে ৩ মিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাত করেছে। জনপ্রতি ২৫ হাজার পাউন্ড গ্রহন করে সে এই সুযোগ দিয়েছে সেই সব লোকজনকে, যারা মূলত ভারতীয়। কানাডায় টরোন্টো কিংবা ভ্যাংকুভারে পৌঁছে তারা তাদের সকল ডকুমেন্ট ছিঁড়ে ফেলতো এবং আশ্রয় দাবি করতো। এসব লোক ভিজিটরের মতো অস্থায়ী ভিসায় যুক্তরাজ্যে এসে ঐ সুপারভাইজারের সহায়তায় কানাডায় পাড়ি দিতো। সে কাজ করতো ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সুপারভাইজার হিসেবে হিথ্রোর ২ নম্বর টার্মিনালে।
কানাডীয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি ধরা পড়ে যখন তারা লক্ষ্য করে যে, আশ্রয়প্রার্থীরা উপর্যুপরি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্ট দিয়ে আসছে। তদন্তকারীরা আরো লক্ষ্য করেন যে, আশ্রয় দাবিকারীরা একই স্টাফ অর্থ্যাৎ ঐ সুপারভাইজারের দ্বারা চেক বা পরীক্ষিত হয়ে এসেছেন। এতে তাদের সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়।
তদন্তে প্রকাশ পায় যে, সে বলতো, যাত্রীদের ইলেক্ট্রোনিক ট্রাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) আছে। গত ৬ জানুয়ারী পুলিশ যুক্তরাজ্যে তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু এরপর সে কৌশলে ভারতে পালিয়ে যায়।
একটি সূত্র অনুসারে, সে একটি লুপহোল বা নিয়মের ফাঁককে ব্যবহার করেছে এই প্রতারনার কাজে। সে জানতো যে, কর্মকর্তারা আর ইমিগ্রেশন চেক করেন না, কাজটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের স্টাফ বা কর্মীদের হাতে।
গত ৫ বছর ধরে সে কাজটি করে আসছিলো। বর্তমানে ব্রিটিশ ও ভারতীয় পুলিশ তাকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করছে।