যুক্তরাজ্যে সরকারী ব্যয় কর্তনে চাপে পড়বে সেবা খাতগুলো
যুক্তরাজ্যে সরকারী ব্যয় কর্তনের পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট। আগামী নির্বাচনের পর কর কর্তনের দরুন ঘাটতির অর্থ পরিশোধের লক্ষ্যে এমন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। এতে জনগনের সেবা খাতগুলো মারাত্মক চাপের মধ্যে পড়বে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। জেরেমি হান্ট আগামী সপ্তাহের বাজেটে আরেক দফা কর কর্তনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, আগামী পার্লামেন্টের জন্য সরকারী খাতে ব্যয় হ্রাসের মাত্রা ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ডেভিড ক্যামেরন গৃহীত হ্রাসের সমতূল্য হবে। অনেকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, আগামী সরকার এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবে না এবং জরুরী ব্যয় নির্বাহের জন্য ট্যাক্স বৃদ্ধি কিংবা অধিক ঋন করতে বাধ্য হবেন।
রিসোলিউশন ফাউন্ডেশন-এর গবেষনা পরিচালক জেমস্ স্মিথ বলেন, অনুমিত ব্যয় কর্তনের ক্ষেত্রে আমরা কর্তনের কৃচ্ছ্রতার পর্যায়ে ফিরে যাচ্ছি। ইনস্টিটিউট ফর গভর্নমেন্ট এর জনৈক সিনিয়র গবেষক স্টুয়ার্ট হাড্ডিনট বলেন, সরকারী সেবাসমূহের বর্তমান অবস্থা সাধারনভাবে বোর্ডব্যাপী বেশ দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। যদি কোন সরকার এসব ব্যয় পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করে, তবে এগুলো তাকে কর্মতৎপরতার ক্ষেত্রে অবনতির দিকে নিয়ে যাবে, যা যে কোন সরকারের কাছে অগ্রহনযোগ্য হবে।
চ্যান্সেলর হান্ট গত বছর শরৎকালীন বিবৃতিতে জাতীয় বীমার ২ শতাংশ কর্তনের ঘোষনা দেন। যা-ই হোক, এই অর্থের অধিকাংশই এমন স্বল্প সংখ্যক বিভাগ কর্তৃক গৃহীত হবে, যেখানে ব্যয় সুরক্ষিত। এসবের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ অন্তর্ভূক্ত, যেখানে সরকার ও লেবার পার্টি অধিক সংখ্যক স্টাফ সংগ্রহের বিষয়ে একটি পরিকল্পনা গ্রহনে সম্মত হয়েছে, যার মানে হচ্ছে, বাজেট বার্ষিক ৩.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। প্রতিরক্ষা খাতও সুরক্ষিত। এর ফলশ্রুতিতে অরক্ষিত অর্থ্যাৎ সুরক্ষিত নয় এমন বিভাগ বা সংস্থাগুলোকে আগামী পাঁচ বছর ব্যয় কর্তনের সম্মুখীন হতে হবে, যদি আগামী সরকার ট্যাক্স বৃদ্ধি বা আরো ঋন গ্রহন না করে। এভাবে বিচার, স্থানীয় সরকার এবং হোম অফিসের মতো বিভাগগুলোকে মারাত্মক ব্যয় হ্রাসের সম্মুখীন হতে হবে।