আবারও রেলভাড়া ৪.৯ শতাংশ বেড়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে
আজ রোববার থেকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে আবারও রেলভাড়া ৪.৯ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে অনেক যাত্রীকে বার্ষিক ট্রেনভ্রমন বাবত শত শত পাউন্ড বেশী পরিশোধ করতে হবে।
ক্যাম্পেইনাররা বলেন, যাত্রীরা এই সর্বশেষ ট্রেন ভাড়া বৃদ্ধির কারনে ক্রুদ্ধ হতেই পারেন, যা বর্তমান মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশী। যদিও সরকার এই বলে বিতর্ক করছে যে, এতে ভাড়া বৃদ্ধি কম রাখতে তাৎপর্যপূর্ন ভূমিকা রাখবে। মন্ত্রীরা বলেন, সিদ্ধান্তটি রেলওয়ে রাজস্বতে ভারসাম্য আনার একটি প্রচেষ্টা, যা এখনো মহামারি পূর্ববর্তী রাজস্ব আয়ের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ নীচে রয়ে গেছে। সরকারকে রেলওয়েতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হারে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
যা-ই হোক, রেলওয়ের এই ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারটি লন্ডন পলিসির বিপরীতে এসেছে, যখন টিউব এবং বাসভাড়া বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে আরো এক বছরের জন্য। এছাড়া আগামী সপ্তাহে রাজধানী লন্ডনে স্বল্প ব্যয়ে ব্যস্ত সময়ে ভ্রমনের ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর সঙ্গে পীক আওয়ারের ভাড়া সিস্টেম বাদ দেয়া হবে।
রেল যাত্রী গ্রুপগুলো এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে, রেলওয়ের অব্যাহত ভাড়া বৃদ্ধি, গত এক দশকে সর্ববৃহৎ ভাড়া বৃদ্ধির পরে, মার্চে ৫.৯ শতাংশ বৃদ্ধি জনগনকে রেলওয়ে ছেড়ে সড়কপথে যাতায়াতের পন্থা অবলম্বনে বাধ্য করতে পারে। যখন এক দশকব্যাপী মূল্যস্ফীীত স্থির থাকার পর পেট্রোলের মূল্যের ওপর জ্বালানী শুল্ক প্রকৃত অর্থেই কমতে শুরু করেছে।
ক্যাম্পেইনার গ্রুপ ‘রেইলফিউচার’ বলেছে, বছরের পর বছর ধরে যাত্রীদের মূল্যস্ফীতিকারী ভাড়া বৃদ্ধির দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি ক্রিস পেইজ বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি ও জলবায়ুর জরুরী পরিস্থিতি সত্বেও মনে হচ্ছে, সরকার রেলওয়ের ভাড়াকে জনগনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রেখে সড়কে নামানোর ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘ক্যাম্পেইনার ফর বেটার ট্রান্সপোর্ট’ এর এক বিশ্লেষনে দেখা গেছে, রেলওয়ের ভাড়া বৃদ্ধি সাধারন রেলপথগুলোতে বার্ষিক সীজন টিকেটে ৩ শ’ পাউন্ডেরও বেশী বাড়তি ব্যয় যোগ করবে। এর মধ্যে ক্যান্টারবারী কিংবা ব্রাইটন থেকে লন্ডন এবং ম্যাকলেসফিল্ড থেকে লীডস পর্যন্ত প্রায় ১৫০ পাউন্ড অতিরিক্ত পরিশোধের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত।