অনলাইনে ঘৃনার শিকার সর্বকনিষ্ট মুসলিম ব্রিটিশ নারী এমপি
ফিলিস্তিনীদের অধিকার নিয়ে বক্তব্য রাখার ফলে পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত মুসলিম ব্রিটিশ এমপি অনলাইনে ব্যাপক ঘৃনামূলক মন্তব্যের শিকার হচ্ছেন। গত বুধবার স্কাই নিউজে এ ব্যাপারে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ব্রিটেনের ইতিহাসের এ পর্যন্ত সর্বকনিষ্ট মুসলিম এমপি হচ্ছেন জারাহ সুলতানা। বয়স ৩০ বছর। বার্মিংহামের একটি পাকিস্তানী মুসলিম পরিবারে তার জন্ম।
তিনি ২০১৯ সালের সাধারন নির্বাচনে কভেন্ট্রি সাউথ আসন থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন।
গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনীদের অধিকার নিয়ে বক্তব্য রাখার পর তিনি অনলাইনে ব্যাপক ঘৃনাসূচক মন্তব্যের শিকার হয়েছেন, যা ব্রিটেনের কোন পার্লামেন্ট সদস্যকে লক্ষ্য করে অতীতে এতোটা করতে দেখা যায়নি। গাজায় ইসরাইলী আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে সুলতানার কর্মকান্ড ও মন্তব্য অনলাইনে দুর্ব্যবহারের একটি লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হতে দেখা গেছে। চলতি বছরের পার্লামেন্টারী রেকর্ড অনুসারে, জারাহ সুলতানা অনলাইনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ন এমপিতে পরিনত হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত অফিশিয়ালদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে এবং এক দশকের মধ্যে ২ জন এমপি’র হত্যাকান্ডের পর সুলতানা এখন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুসরণ করছেন।
তিনি সম্ভাব্য বিপদ আপদের ব্যাপারে পার্লামেন্টারি সিকিউরিটি টিমকে অবহিত করার জন্য প্রতিটি অনুষ্ঠানে উপস্থিতির তারিখ, স্থান ও সময় সম্পর্কে অবহিত করছেন। জারা সুলতানা বলেন, গত বছর থেকে ফিলিস্তিনীদের অধিকার নিয়ে কথা বলা শুরুর পর থেকে অনলাইন ঘৃনার সবচেয়ে বড়ো উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তার ক্ষেত্রে। প্রায় প্রতিদিনই তাকে বহিষ্কারের আহ্বান ও স্বদেশ পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার জন্য মেসেজ পাঠানো হচ্ছে।
মিডিয়া এই মর্মে তাকে প্রেরিত একটি মেসেজ দেখেছে, যাতে বলা হয়েছে এই কুত্তিকে ফিলিস্তিনে পাঠিয়ে দেয়া হোক, সে নিম্নমানের লক্ষ্যবস্তু। সুলতানা বলেন, হুমকির কারনে তিনি পাবলিক পরিবহন এড়িয়ে চলছেন এবং জনসমক্ষে আসার ক্ষেত্রে সহকর্মী কিংবা সিকিউরিটির সাথে নিয়ে আসছেন।