যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব বৃদ্ধি ও মজুরী হ্রাস পায় গত প্রান্তিকে
যুক্তরাজ্যে জানুয়ারী পর্যন্ত এর আগের তিন মাসে বেকারত্ব বৃদ্ধি পায় এবং মজুরী বৃদ্ধিও ধীর হতে দেখা গেছে। দেশটির শ্রম বাজারে দুর্বলতা দেখা দিলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যার ফলে অর্থনীতিতে ব্যাপক স্থবিরতা পরিলক্ষিত হয়।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স অনুসারে, গত বছর ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার ছিলো ৩.৮ শতাংশ। কিন্তু এরপরই জানুয়ারী মাসে হঠাৎ অপ্রত্যাশিত ভাবে তা ৩.৯ শতাংশে উন্নীত হয়। এসময়ে বোনাসসহ গড় জাতীয় মজুরী বৃদ্ধির হার নেমে আসে ৫.৬ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিলো ৫.৮ শতাংশ।
সিটি ইকোনোমিস্টরা প্রত্যাশা করেছিলেন যে, বেকারত্ব স্থির অবস্থায় থাকবে এবং মজুরী বৃদ্ধি মৃদুতর ৫.৭ শতাংশ ধীর হবে। বোনাস ছাড়া মজুরীও নিম্নগামী হয়। এটা এর আগের একই তিন মাস সময়ের ৬.২ শতাংশ থেকে ৬.১ শতাংশে নেমে আসে।
নিয়োগদাতারা নতুন স্টাফ নিয়োগ কর্তন করেন। ফলে এই প্রান্তিকে বিজ্ঞাপিত চাকুরীর শূন্য পদের সংখ্যা ৯ লাখ ৮ হাজার থেকে ৪৩ হাজারে নেমে আসে। যা এই ইংগিত দেয় যে, ২০২৩ সালের বিগত ৬ মাসের মন্দা শ্রম বাজারে মোটামুটি বড়ো ধরনের ধাক্কা দিয়েছে, যা হিসাবের বাইরে। যা-ই হোক, অধিকতর সাম্প্রতিক জরীপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের ব্যবসা-বানিজ্য অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীতে পুনরায় আস্থা অর্জন করছে এবং শ্রমিক-কর্মীদের মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে বেশী মজুরী প্রাপ্তি অব্যাহত থাকায় ব্যবসায়ীরা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখন মূল্যস্ফীতির ৪ শতাংশ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুন। উল্লেখ্য, মূলত: যারা শ্রম বাজার ত্যাগ করেছেন, তারা দুর্বল স্বাস্থ্যের জন্য তা করেছেন। এতে বুঝা যায় নিয়োগদাতারা স্টাফ যোগাড় করতে এখনো হিমশিম খাচ্ছেন।
ইনস্টিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট স্টাডিজ এর পরিচালক টনি উইলসন বলেন, মহামারির আগের তুলনায় সামগ্রিকভাবে ৫ লক্ষাধিক লোক কর্ম ছেড়েছেন। অধিক সংখ্যক তরুন লোকজন ও শ্রমবাজারের বাইরে থাকা বয়স্ক লোকজনের অনুপস্থিতির কারনে বিশেষভাবে লোকজনের দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার ফলে এমনটি হয়েছে।