সৌদী প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ঘুষ কেলেংকারী

যুক্তরাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দেশটির একটি আদালতে দুই দফা অভিযোগ আনা হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ উচ্চপদস্থ সৌদী কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। জনৈক সচেতনতা সৃষ্টিকারী ইয়ান ফক্সলি একটি দীর্ঘকালীন প্রতিরক্ষা চুক্তিতে দুর্নীতির তথ্য প্রমান উদঘাটন করেছেন।
তার অভিযোগ, এজন্য সরকারী বিভাগ তার সত্য উদঘাটনের প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, কারারুদ্ধ করার হুমকি দেয়ার পর তিনি সৌদী আরব থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন।
দ্বিতীয় অভিযোগের ক্ষেত্রে সরকারী বিভাগ জন ম্যাসন নামক জনৈক ব্যবসায়ীর আনীত মামলার সম্মুখীন, যিনি জনৈক সৌদী প্রিন্স ও তার সহযোগীদের প্রায় ১০ মিলিয়ন পাউন্ড ঘুষ প্রদানের অভিযোগ আনেন। তিনি গত বুধবার খালাস পান।
৮১ বছর বয়সী ব্যবসায়ী জন ম্যাসন সফলভাবে যুক্তি দেখান যে, তিনি অর্থ পরিশোধের বিষয়টি ব্রিটিশ ও সৌদী সরকারের দ্বারা অনুমোদিত হওয়ায়, তার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মামলা দায়ের করা হয়। ফক্সলি তার তদন্তকারীদের কাছে এক দশকেরও অধিককাল আগে প্রমানাদি প্রদানের পর দুর্নীতি দমন সংস্থা ‘দ্য সিরিয়াস ফ্রড অফিস’ তাদের মামলা শুরু করে। ২০১০ সালে ফার্ম জিপিটি স্পেশিয়েল প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড-এ সিনিয়র ফাইন্যান্সিয়েল এক্সিকিউটিভ ফক্সলি কর্মরত ছিলেন। তখন তিনি বিদেশী একাউন্টসমূহে ব্যাখ্যাবিহীন মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধিত হতে দেখেন। ঐসব অর্থ পরিশোধ ছিলো কয়েক যুগব্যাপী বিদ্যমান যুক্তরাজ্য-সৌদী প্রতিরক্ষা চুক্তির অংশ, যাতে জিপিটি সৌদী আরবের একটি ইউনিটটে সামরিক যোগাযোগ সংক্রান্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করে।
তার বস, অপর একজন নির্বাহী এবং একজন সৌদী প্রিন্স তাকে গ্রেফতারের হুমকি দেন। তখন তার মনে হয় যে, তার জীবন বিপদাপন্ন এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনি ব্রিটেন থেকে পালিয়ে আসেন।
এভাবে তাকে চাকুরী হারাতে এবং পেশ পরিবর্তন করতে হয়। এছাড়া এজন্য তাকে মানসিকভাবে চাপে পড়তে হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button