লন্ডনে হাউজিং সংকট নিরসনে ব্যর্থ হান্টের নতুন বাজেট
যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর জেরেমি হান্টের বসন্তকালীন বাজেট ভেঙ্গে পড়া হাউজিং মার্কেটকে চাঙ্গা করার মতো কিছু করতে ব্যর্থ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন দেশটির সচেতন মহল। তাদের মতে, একটি জাতীয় হাউজ বিল্ডিং ও কাউন্সিল হাউজ বিল্ডিং কর্মসূচীতে অর্থায়নে কোন প্রতিশ্রুতি প্রদান ও পরিকল্পনা গ্রহনের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি এই বাজেটে। লন্ডনে হাউজিং সংকট রীতিমতো প্রকট আকার ধারন করেছে।
মি: হান্টের বাজেটে প্রথম বারের মতো বাড়ি ক্রয়কারীদের জন্য কোন প্রকৃত সহায়তার কথা নেই, রেন্টাল হোম কিংবা বিক্রির জন্য বাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি এমনকি স্ট্যাম্প ডিউটি মওকুফেরও কোন ব্যবস্থা নেই উক্ত বাজেটে। এটা সব ধরনের এস্টেট এজেন্টকে অত্যন্ত হতাশাগ্রস্ত করেছে।
হাউজিং অর্থ্যাৎ আবাসনের বিষয়টি আবারো রক্ষণশীলদের অর্থনৈতিক কৌশলে অনুপস্থিত, যদিও বাড়ি ভাড়া রেকর্ড পরিমান, হাউজ বিল্ডিং রেইট খাদে নিপতিত, ভবিষ্যত প্রজন্ম ভবিষ্যতে একটি বাড়ির মালিক হওয়ার আশা ত্যাগ করেছে এবং গৃহহীন পরিবার ও শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পুরোনো সরবরাহ সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থতার জন্য চ্যান্সেলর সহযোগী রাজনীতিবিদ, প্রোপার্টি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদদের নিন্দা কুড়োচ্ছেন চ্যান্সেলর।
লেবার পার্টির গ্রীনিচ আসনের এমপি ম্যাথিউ পেনিকক বলেন, হাউজিংয়ের ক্ষেত্রে এটা অপর একটি হতাশাব্যঞ্জক বাজেট। এতে সাধ্যাতীত হয়ে ওঠা হাউজিংয়ের সংকট মোকাবেলার কোন ব্যবস্থা নেই। প্রচন্ড চাপের মধ্যে নিপতিত ভাড়াটেদের সাহায্যের কোন পদক্ষেপ নেই। গৃহহীনদের জন্য কোন কিছু নেই।
স্যাভিলস এর এমিলি উইলিয়াম বলেন, লন্ডনের দু’টি স্থানে ৮ হাজার নতুন বাড়ির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু এর অনেকগুলো এখনো পাইপ লাইনে, বাড়তি কোন সরবরাহ নেই। এছাড়া উচ্চ ভাড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন নতুন ভোটারদের উদ্বেগ নিরসনের মাধ্যমে তাদেরকে আকৃষ্ট করার মতো কিছু নেই এই বাজেটে।