যুক্তরাজ্যে ব্ল্যাক ক্যাবের ভাড়া বাড়ছে মূল্যস্ফীতির দ্বিগুণ
আগামী মাস থেকে ব্ল্যাক ট্যাক্সি ভাড়া বাড়ছে। এই বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির দ্বিগুনেরও বেশী। ক্যাব চালকরা যাতে পেশা ত্যাগ না করে, তা প্রতিহত করতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। যখন মূল্যস্ফীতির সিপিআই রেট ৪ শতাংশ তখন ব্ল্যাক ট্যাক্সির ভাড়া বাড়ছে গড়ে এর দ্বিগুনেরও বেশী অর্থ্যাৎ ৮.৯ শতাংশ। লন্ডন মেয়র সাদিক খান জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবেলায় পে-অ্যাজ-ইউ-গো টিউব এবং বাস ভাড়া বৃদ্ধি স্থগিত রেখেছেন।
যা-ই হোক, গত মহামারি শুরুর পর থেকে লন্ডনে ট্যাক্সি ড্রাইভারদের লাইসেন্সের সংখ্যা ২১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা গত মাসে ছিলো ১৭ হাজার ৫৭২। ১৯৮০ সালের পর এটা সর্বনিম্ন। রাজধানীতে ব্ল্যাক ট্যাক্সির সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ১৪ হাজার ৭৫০ থেকে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে এটা এক দশক আগের চেয়ে ৮ হাজার কম। তখন ৯২ হাজারেরও বেশী মিনি ক্যাব ব্যবসার লক্ষ্যে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিলো।
ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের (টিএফএল) ফাইন্যান্স কমিটি আগামী সপ্তাহে এই পরিবর্তনের অনুমোদন দেবে। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া ৩.৮০ পাউন্ডই থেকে যাবে। কিন্তু একটি ওয়ান মাইল উইকডে ভ্রমনের ভাড়া ৬.৮০ পাউন্ড থেকে প্রায় ৭.২০ পাউন্ডে উন্নীত হবে। আর একটি থ্রি মাইল উইকডে’র বৈকালিক ভাড়া ১৫.৮০ পাউন্ড থেকে বেড়ে হবে ১৭.২০ পাউন্ড।
ক্যাব চালকদের আয় রক্ষনাবেক্ষনে টিএফএল প্রতি বছর ট্যাক্সিভাড়া পর্যালোচনা করে থাকে। এক্ষেত্রে ভাড়া যাতে লন্ডনের বাসিন্দাদের সাধ্যের বাইরে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখা হয়।
গত এপ্রিলে ভাড়া গড়ে ৭.৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। টিএফএল বলেছে, ট্যাক্সি ড্রাইভারদের অপারেটিং ব্যয় ৫.২ শতাংশ বেড়েছে, এর নেপথ্যে রয়েছে গাড়ির মূল্য, বীমা ও বৈদ্যুতিক চার্জিং। একই সময়ে জাতীয় গড় আয় ৩.৭ শতাংশ বেড়েছে।
টিএফএল আরো বলেছে, এটা গুরুত্বপূর্ন যে, ট্যাক্সি চালকেরা যেনো ন্যায্য ভাড়া পান, তবেই ট্যাক্সি চালানো একটি গ্রহনযোগ্য পেশা হবে। লাইসেন্সধারী ট্যাক্সি চালকেরা এই পেশা ছাড়বে না। আর লোকজন লাইসেন্সধারী ট্যাক্সি চালকও হতে চাইবে।