৪০ বছরের মধ্যে রক্ষনশীল দলের জনসমর্থন তলানীতে
এক নতুন জরীপে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন রক্ষনশীল দলের সমর্থন ১৯৭৮ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ভোটারদের মধ্যে প্রতি ৫ জনে মাত্র ১ জন সমর্থন করছেন এই দলটিকে। চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এই ইপসস জরীপটি গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়। এতে দেখা গেছে, মি: সুনাক মাত্র ২৫ টি আসন পেতে পারেন, যা ২০১৯ সালে বরিস জনসনের জয়ের তুলনায় ৩৫১ আসন কম। এমনটি হলে তা হবে একটি ঐতিহাসিক পরাজয়।
এতে আরো পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে যে, লেবার নেতা কেইর স্টার্মার ৫৩৭ পেতে পারেন নির্বাচন হলে। যা গত নির্বাচনে জেরেমি করবিনের প্রাপ্ত ৩৪০ আসনেরও বেশী এবং ১৯৯৭ সালে টনি ব্লেয়ারের ভূমিধস বিজয়ের সমতূল্য।
জরীপে দেখা গেছে, রক্ষনশীলদের প্রতি মাত্র ২০ শতাংশ সমর্থন রয়েছে ভোটারদের, ১৯৭৮ সালের পর এটা সর্বনিম্ন। সাম্প্রতিক জরীপে দেখা গেছে, লেবার পার্টির সমর্থন জানুয়ারীর ৪৯ শতাংশ থেকে এখন ৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে। ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের প্রতি ৯ শতাংশ ভোটারদের সমর্থন লক্ষ্য করা গেছে। গ্রীন পার্টি ও রিফর্ম ইউকে উভয় দলের প্রতি রয়েছে ৮ শতাংশ ভোটারের সমর্থন। গত জানুয়ারীতে এটা দ্বিগুন ছিলো।
লক্ষনীয় যে, রক্ষনশীল দলের প্রতি সমর্থনে এমন মন্দার পেছনে রয়েছে ২০২৪ সালের শুরুতে মি: সুনাককে নিয়ে ধারাবাহিক খারাপ শিরোনাম, যাতে ছিলো যুক্তরাজ্যে ২০২৩ সালের শেষের দিকে মন্দা দেখা দিতে পারে। এছাড়া ওয়েলিংবারা ও কিংসউড এর বড়ো দু’টি উপ-নির্বাচন এবং বর্তমানে সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত এমপি লী ল্যান্ডারসনের মন্তব্যকে কেন্দ্র ইসলামোফোবিয়া বিতর্ক। এছাড়া এনএইচএসে প্রায় রেকর্ড সৃষ্টিকারী ওয়েটিং লিস্ট, বোটে আসা অভিবাসন বন্ধ ও অর্থনৈতিক বিকাশসহ তার ৪টি প্রধান প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতা।
ইপসস এর প্রধান রাজনৈতিক গবেষক গিডিয়ন স্কিনার বলেন, ঐতিহাসিক তুলনাগুলো রক্ষনশীল দল ও ঋষি সুনাকের জন্য অশুভ বার্তা।