এনএইচএস‘র দুই সহস্রাধিক বিল্ডিং জরাজীর্ণ ও পুরোনো
ব্রিটিশ এমপিরা বলেছেন, দেশের জরাজীর্ণ হাসপাতালগুলোতে লাখ লাখ রোগী ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুই সহস্রাধিক এনএইচএস বিল্ডিং এই সংস্থার চেয়েও পুরনো। স্বাস্থ্য খাতের কর্তা ব্যক্তিরা উপর্যুপুরি মন্ত্রীদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে তারা এনএইচএস‘র জরাজীর্ণ ও ভাঙ্গাচোরা বিল্ডিং এর স্থলে রোগী ও স্টাফদের জন্য নিরাপদ ভবন নির্মাণের অর্থ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। ইংল্যান্ডে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ ব্যয়ের আবশ্যকীয়তা ১১.৬ বিলিয়ন পাউন্ডেও উন্নত হয়েছে.
এনএইচএস’র ডিজিটাল ডাটা বিশ্লেষনে দেখা গেছে, ইংল্যান্ডের ২১১ টি এনএইচএস ট্রাস্ট এর ৩৪টি তে চারটি ভবনের মধ্যে কমপক্ষে একটি ১৯৪৮ সালের আগে তৈরি, যে সালে এনএইচএস প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০২০ সালে রক্ষণশীল দলের মন্ত্রীরা একটি নতুন বিল্ডিং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ৪০ টি নতুন হাসপাতাল স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ন্যাশনাল অডিট অফিস দেখতে পায় যে স্কিমটি ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টির স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা বিষয়ক মুখপাত্র ডেইজি কুপার পরিস্থিতিকে একটি ‘জাতীয় কেলেঙ্কারি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, লাখ লাখ লোক ভাঙ্গাচোরা ও পুরনো হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন যেগুলো এধরণের কাজের জন্য উপযুক্ত নয়।
তিনি বলেন, রোগী ও স্টাফরা নিরাপদ আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন হাসপাতালে মর্যাদা ভোগের অধিকার রাখেন। কিন্তু এর পরিবর্তে সরকার এক্ষেত্রে বাজেটে অর্থ বরাদ্দে কার্পণ্য প্রদর্শন করে চলেছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ভাঙ্গাচোরা হাসপাতাল বিল্ডিং গুলো মেরামতে ঋষি সোনাকের পদক্ষেপ ও একটি পরিকল্পনা ঘোষণা দরকার। স্বাস্থ্য সেবার প্রতি এই রক্ষণশীল সরকারের পুরনো অবহেলার খেসারত দিতে হচ্ছে রোগীদের।
এনএইচএস প্রোভাইডারদের ডেপুটি চীফ এক্সিকিউটিভ সাফরন কর্ডারি বলেন, পরিস্থিতি দিনের পর দিন শুধুই খারাপ হচ্ছে। রোগী ও স্টাফরা ঝুঁকিতে আছেন।