হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ধ্বংসের জন্য ইসরাইলকে জাতিসংঘের নিন্দা
দুর্বৃত্ত ও অমানবিক অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের দুর্বৃত্তপনা ও অমানবিকতার কোন শেষ নেই যেনো। সাম্প্রতিক হামলার সময় ইসরাইলী সৈন্যরা পরিকল্পিতভাবে গাজায় কমপ্লেক্স ধ্বংস এবং হাসপাতালসমূহ ও প্রসূতি ওয়ার্ডগুলোতে মূল্যবান ও দুর্লভ মেডিক্যাল সরঞ্জাম ধ্বংস করেছে বলে ব্যাপক অভিযোগ ওঠেছে।
সম্প্রতি গাজার ১০ টি হাসপাতালে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন মিশনগুলো অনেক ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেয়েছে। তারা হাসপাতালে গুটি কয়েক কর্মক্ষম প্রসূতি স্বাস্থ্য পরিষেবা দেখেছেন। ফিলিস্তিন বিষয়ক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) প্রতিনিধি ডমিনিক অ্যালেন এমন তথ্য প্রদান করেছেন।
তিনি বলেন যে, ইসরাইলী সামরিক অভিযানকালে দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ আল নাসের হসপিটাল কমপ্লেক্স-এ তাদের টিম যা দেখেছে তা তার হৃদয় বিদীর্ণ করেছে। আল নাসের হসপিটাল কমপ্লেক্স গাজার দক্ষিনাঞ্চলীয় নগরী খান ইউনিসে অবস্থিত।
জেরুসালেম থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে জেনেভায় সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, মেডিকেল সরঞ্জামগুলো পরিকল্পিতভাবে ভাংচুর করা হয়েছে। নিরাপদ প্রসবের জন্য সহায়ক অতীব গুরুত্বপূর্ন আল্ট্রাসাউন্ড ডিভাইসের তারগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। আল্ট্রাসাউন্ড যন্ত্রসমূহের মতো জটিল মেডিকেল সরঞ্জামের স্ক্রিনগুলো ভেঙ্গে চুরমার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, খান ইউনিসের অপর একটি ম্যাটারনিটি হসপিটাল আল-খায়েরে চিকিৎসা সরঞ্জামের একটিও অক্ষত নেই, সব ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
গাজায় প্রতিদিন ১৮০ জন মহিলা সন্তান প্রসব করলেও মাত্র ৩ টি হাসপাতাল তাদের সহায়তা দিতে সক্ষম। প্রসূতিদের ১৫ শতাংশ নানা জটিলতায় ভুগছেন, যাদের তাৎপর্যপূর্ন চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন।
অ্যালেন আরো জানান, সুযোগ সুবিধার অপর্যাপ্ততার কারনে সন্তান জন্মদানের কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রসূতিরা হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।