ইসরাইল ফিলিস্তিনের অর্থনীতি অধিকতর গ্রাস করছে
বিশ্লেষকদের মতে, গাজা সংঘাত ইসরাইলের ফিলিস্তিনি অর্থনীতি কুক্ষীগতকরণকে ত্বরান্বিত করছে। ওসলো শান্তি চুক্তির পর তা যুগ যুগ ধরে চুক্তি সমূহের দ্বারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরাইল- ফিলিস্তিন যুদ্ধের তাণ্ডবে গাজার বিভিন্ন এলাকা বিপর্যস্ত হয়েছে। এটা ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরের সরকারি রাজস্ব আয় ও অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ইসরাইল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের উপর ফাঁস আরো টাইট বা শক্ত করছে। এই কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অংশ শাসন করে এবং রাজস্ব আদায় করে। অর্থনীতিবিদ আদল সামারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
ইসরাইলের ভেতরে গিয়ে শ্রমদানকারী ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ফিলিস্তিনিদের জীবিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সহিংসতাপূর্ণ এলাকায় পর্যটনের বিপর্যয় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
এছাড়া এবার ক্রিসমাসে বেথেলহেম ছিলো নিস্তব্ধ নীরব।
ফিলিস্তিনি অর্থনীতি বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত হয় ১৯৯৪ সালে প্যারিস প্রটোকলের দ্বারা। এই প্রোটকল ইসরাইলের হাতে ন্যস্ত করেছে এই ভূখণ্ডের সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা। এর ফলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য আমদানি কর ও ভ্যাট সংগ্রহের অধিকার পেয়েছে ইসরাইল। ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের অতি প্রয়োজনীয় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে এই অধিকারের সুযোগ নিয়ে।
বিশ্লেষক সামারা আরো বলেন, গাজা যুদ্ধ এই অর্থনীতির উপর তার নখর বা গ্রাস আরো জোরদার করেছে। ফ্রেঞ্চ ইনস্টিটিউট ফর দা নিয়ার ইস্ট-এর জনৈক গবেষক তাহের আল লাভাদি বলেন, এসব অর্থের অভাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাদের বেসামরিক কর্মচারীদের বেতন দিতে ও ব্যয় মেটাতে সক্ষম হচ্ছে না।
ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের ইসরাইল কাজ করার অনুমতি না দিয়ে এবং ফিলিস্তিনি ট্যাক্স রাজস্ব স্থগিত করে ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী বেনগভির ও উগ্রপন্থী নেতা স্মোটরিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছেন। কারণ তারা এই কর্তৃপক্ষকে তাদের শত্রু বলে মনে করে।