‘গাজায় যা ঘটেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও তা ঘটেনি’
সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী এই মর্মে সাবধান বাণী উচ্চারণ করেছেন যে, রাজনৈতিক হুমকি যেমন গাজা ও ইউক্রেনের সংঘাত বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি রিয়াদে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম-এর এক বৈঠকে সৌদি অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, সংঘাতসমূহের প্রত্যক্ষ ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতির উপর। তিনি আরো বলেন, ভূ-রাজনৈতিক হুমকি, যা দুর্ভাগ্যজনকভাবে কমার পরিবর্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সম্ভবত বর্তমান সময়ের এক নম্বর হুমকি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে। গাজা, ইউক্রেন ও অন্যান্য সংঘাত অর্থনৈতিক আবেগের উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি অর্থনীতি সেন্টিমেন্টের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে বর্ণনা করেন।
আল জাদান বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমাদের প্রাণহানি দেখতে হচ্ছে। ইউক্রেন কিংবা ফিলিস্তিনে বেসামরিক মানুষের জীবন গুরুত্বপূর্ণ। ঠান্ডা মাথার দেশ ও নেতৃবৃন্দের জাগরণ প্রয়োজন। যুদ্ধবিগ্রহের বিস্তৃতি রোধ করা দরকার। তিনি বলেন, সৌদি আরব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনে তাৎপর্যপূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এই কৌশলকে তিনি সৌদি আরবের একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন। রাজনীতি ও সংঘাতের চেয়ে এ অঞ্চলের জনগণের এর প্রবৃদ্ধি ও অর্থনীতির উপর দৃষ্টি দেয়া আবশ্যক বলে তিনি মনে করেন।
আল জাদান আরো বলেন, গাজায় যা ঘটেছে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি কিংবা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশেও ঘটেনি। গাজার যুদ্ধ অবশ্যই অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং আমরা বাস্তুচুতির যেকোনো পরিকল্পনার বিরোধী।
ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের এই বৈঠকে বিশ্বের ৯২ টি দেশের ১ হাজার অফিশিয়াল, বিশেষজ্ঞ ও চিন্তক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।