‘রক্ষণশীল দল আগামী নির্বাচনে হয়তো জিতবে না’
স্থানীয় নির্বাচনে পরাজয়ের পর রক্ষনশীল দলের বিদ্রোহীরা প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে তার রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তনের জন্য হুশিয়ার করে দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে ঋষি সুনাক স্বীকার করেছেন যে, আগামী নির্বাচনে রক্ষনশলি দল জয়লাভ না-ও করতে পারে।
সপ্তাহান্তের স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফলের পর প্রধানমন্ত্রীকে অব্যাহতভাবে পতন আঁকড়ে ধরতে দেখা যাচ্ছে। যাতে দেখা যায়, তার দল অপ্রত্যাশিতভাবে মিডল্যান্ড মেয়র নির্বাচনের লেবার পার্টির কাছে হেরেছে। মিডিয়ায় বক্তব্য প্রদানকালে ঋষি সুনাক বলেন, যুক্তরাজ্য একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকে এগোচ্ছে। তবে তিনি দাবি করেন যে, ভোটাররা দেখতে চান না স্যার কেইর স্টার্মার এসএনপি কিংবা ক্ষুদ্র দলসমূহের মাধ্যমে ডাউনিং স্ট্রিটে ঢুকে পড়ছেন।
স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষন করেছে মিডিয়া। স্কাই নিউজের বিশ্লেষনে বলা হয়েছে, ঝুলন্ত পার্লামেন্টে লেবার পার্টি হবে বৃহত্তম দল। যদিও জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা ভিন্নভাবে আচরন করবেন, তাদের খুব অল্পই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলকে পছন্দ করবে।
ঋষি সুনাক আরো বলেন, এসব ফলাফল থেকে বুঝা যায়, আমরা লেবারকে বৃহত্তম দল হিসেবে নিয়ে একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকে যাচ্ছি। এসএনপি, লিবারেল ডেমোক্র্যান্টস এবং গ্রীনসকে নিয়ে কেইর স্টার্মারের ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ একটি বিপর্যয় সৃষ্টি করবে ব্রিটেনের জন্য। দেশ কাজ চায়, আরো রাজনৈতিক অশ্ব ব্যবসা চায় না। আমরা একমাত্র পার্টি যাদের জনগনের অগ্রাধিকার প্রদানের একটি পরিকল্পনা রয়েছে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোয়েলা ব্রেভারম্যান ভোটারদের মন জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সঠিক ধারায় রাজনৈতিক পরিবর্তনের আহ্বান জানান। তবে তিনি বলেন, নেতৃত্বের পরিবর্তন কোন ‘উপযুক্ত সম্ভাবনা’ নয়। কোন সুপারম্যান বা সুপারউইমেন নেই যে রাতারাতি এটা করতে পারে।
তিনি ভোটারদের মন জয়ের জন্য আরো কর কর্তন এবং বৈধ অভিবাসনের একটি সীমারেখা টানার জন্য মি: সুনাকের প্রতি আহ্বান জানান।