মন্দা কাটিয়ে ওঠেছে ব্রিটেন
দেশব্যাপী নির্বাচনে মার খাওয়ার এক সপ্তাহ পর যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে একটি বড়ো জোয়ার লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের জন্য স্বস্তি বয়ে এনেছে। অফিশিয়াল পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, একটি স্বল্পতম মন্দার পর দেশটির জিডিপি প্রত্যাশিত ০.৬ শতাংশের চেয়েও বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। বছরের প্রথম তিন মাসে একটা অধিকতর জোরালো হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছরের শেষভাগের মৃদু মন্দা কাটিয়ে বছরগুলোর ধীর প্রবৃদ্ধির পর অর্থনীতি শেষ পর্যন্ত বেশ গতিলাভ করছে। আজকের ঘোষনায় দেখা যাচ্ছে, মোট উৎপাদন খাতের যেখানে ৮০ শতাংশ রয়েছে, সেই সার্ভিস সেক্টর বা সেবা খাতে জানুয়ারী ও মার্চের মধ্যে ০.৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে, যাতে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতও অন্তর্ভূক্ত, এই খাতেও প্রবৃদ্ধি ০.৮ শতাংশের উপরে রয়েছে। অবশ্য নির্মান খাতে ০.৯ শতাংশ পতন ঘটেছে।
লক্ষনীয় যে, উপর্যুপরি সাতটি ত্রৈমাসিকে কোন ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি না থাকার পর প্রথম ত্রৈমাসিকে সত্যিকার মাথাপিছু জিডিপি ০.৪ শতাংশ বেড়েছে। চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট বলেন, এসব পরিসংখ্যানের যা উৎসাহব্যঞ্জক তা হচ্ছে, আমরা ফ্রান্স কিংবা জার্মানীর চেয়ে শুধু দ্রুততর গতিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনই করছি তা নয়, বরং আমরা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও দ্রুত এক্ষেত্রে।
অবশ্য ছায়া চ্যান্সেলর র্যাচেল রীভস্ বলেন, রক্ষনশীল মন্ত্রীদের জন্য বিজয় সংগীতের কোন সময় এখন নয়। দোকানগুলোতে দ্রব্যমূল্য এখনো তাৎপর্যপূর্নভাবে বেশী, পরিবারগুলোকে প্রতিমাসে শত শত পাউন্ড বেশী মর্গেজ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে এবং আগামী বছর অর্থনীতি মাত্র ১ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে লিবারেল ডেমোক্র্যাটের ট্রেজারি মুখপাত্র সারাহ ওলনি বলেন, ঋষি সুনাক ভাবছেন দুর্দশাগ্রস্ত গৃহস্থালীগুলো এখন উৎসব করছে, তিনি আমাদের ভাবনার চেয়েও বেশী বিচ্ছিন্ন রয়েছেন বাস্তবতা থেকে।