ফিলিস্তিনীদের পক্ষে লন্ডনে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশের ব্যয় ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড
যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনীদের পক্ষে বিক্ষোভ ও ইসরাইলীদের প্রতিবাদ ঠেকাতে ব্রিটিশ মেট্রোপলিটন পুলিশকে ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করতে হয়েছে। গত বুধবার প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, লন্ডনের বিক্ষোভসমূহ মোকাবেলায় মেট্রোপলিটন পুলিশকে মাসিক গড়ে ৬ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করতে হচ্ছে। অক্টোবর ও মার্চে পুলিশ বাহিনী বিক্ষোভ মিছিলসমূহ পর্যবেক্ষনে ৩৬ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেছে। এসময় মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ লোক রাস্তায় মিছিল করে।
গত ৬ মাসে শুধু পুলিশ অফিসারদের ওভারটাইম বাবদ ব্যয় করতে হয়েছে ৬.১ মিলিয়ন পাউন্ড। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই অর্থ খরচ করতে হয়। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ এটাকে ‘অপারেশন ব্রক’ বলে আখ্যায়িত করেছে। গত ৭ অক্টোবর ও মার্চে ইসরাইলে হামাসের হামলা এবং গাজায় যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে ৩ শতাধিক লোককে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু অক্টোবর ও মার্চের মধ্যবর্তী সময়ে অপরাধের দরুন শুধুমাত্র ৫১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অবশিষ্ট বড়ো অংশের লোকজন জামিনে কিংবা পরবর্তী কোন পদক্ষেপ ছাড়াই মুক্তিলাভ করেন। চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে মেট অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।
নভেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশী লোককে গ্রেফতার করা হয়। গত ১১ নভেম্বর রাজধানী লন্ডনে ফিলিস্তিনীদের পক্ষে মিছিলের সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় প্রায় ৩ লাখ লোক রাস্তায় নেমে আসে। এছাড়া এসময় পুলিশ উগ্র ডানপন্থীরা স্বঘোষিত ‘প্রোটেক্ট আর্মিস্টাইস ডে’র নামে পাল্টা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে হোয়াইটহলের সেনোটাফে। এখান থেকে পুলিশ লোকজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক উগ্র ডানপন্থী ইহুদী ও ‘হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীলদের’ নিন্দা করেন। শতাধিক লোককে গ্রেফতারের পরদিন তিনি এই নিন্দা জ্ঞাপন করেন। পুলিশ বলেছে, অধিকাংশ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য বিশৃংখলা ছাড়াই।