ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী গাজায় ২শ’ গোয়েন্দা ফ্লাইট পরিচালনা করেছে
ডিক্লাসিফাইড ইউকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিমানগুলো গাজার ওপর ১ হাজার ঘন্টা উড়ে ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ইসরাইল কর্তৃক ৩ জন ত্রানকর্মী নিহত হওয়ার দিনেও এই ফুটেজ রেকর্ড করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ব্রিটিশ রয়াল এয়ারফোর্স (আরএএফ) গত ডিসেম্বর থেকে গাজার ওপর ২শ’ সার্ভিলেন্স ফ্লাইট অর্থ্যাৎ পর্যবেক্ষন বা গোয়েন্দা ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। যুক্তরাজ্য সরকার এসব ফ্লাইটের ব্যাপারে কোন তথ্য দিতে অস্বীকার করেছে। অবশ্য ডিক্লাসিফাইড স্বাধীনভাবে এ সংক্রান্ত তথ্যাদি সংগ্রহ করেছে।
ডিক্লাসিফাইডের হিসাব অনুযায়ী, গত ৫ মাসে গোয়েন্দা মিশনে প্রতিদিন একটিরও বেশী ফ্লাইট পরিচালনা করেছে রয়াল এয়ারফোর্স। ইসরাইল যাতে নিরাপদ দক্ষিনাঞ্চলীয় রাফাহ নগরীতে অভিযান চালাতে পারে এই উদ্দেশ্যে এসব ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। গত মার্চ মাসে গাজায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪৪ টি গোয়েন্দা ফ্লাইট মিশন চালানো হয়। আরএএফ সাইপ্রাসে অবস্থিত তার ক্রমবর্ধমান বিমান ঘাঁটি অ্যাক্রোটিরি থেকে এসব গোয়েন্দা ফ্লাইট পরিচালনা করে। প্রায় ৬ ঘন্টাব্যাপী আকাশে চলে এই পর্যবেক্ষনের মিশন।
মর্মান্তিক ব্যাপার হচ্ছে এই যে, গত ১ এপ্রিল একটি ব্রিটিশ গোয়েন্দা ফ্লাইট যখন আকাশে ছিলো, তখন ইসরাইলী বিমান হামলায় গাজার ভূমিতে ৩ জন ব্রিটিশ ত্রানকর্মী নিহত হন। এই হামলায় মোট ৭ জন মারা যান। এদের মধ্যে ব্রিটিশ ত্রানকর্মী জন চ্যাপম্যান (৫৭), জেমস হ্যান্ডারসন (৩৩) ও জেমস কিরবী (৪৭) ছিলেন। তারা অন্য ৪ জন সহ কিচেন কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঐদিন সোমবার একটি ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিমান অ্যাক্রোতিরি বিমানঘাঁটি থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৫ টায় উড়ে যায় এবং রাত ১:৪৯ ঘটিকায় ফিরে আসে। ইসরাইলী বিমান হামলা রাত সাড়ে ১০ টায় চালানো হয় বলে ধারনা করা হচ্ছে। ইসরাইল এ ঘটনায় বিস্তারিত ফুটেজ প্রকাশ করেনি। এছাড়া একটি ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিমান ইসরাইলে বীরসেবায় অবতরন করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী।