নির্বাচনে জিতলে আয়কর না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি লেবার পার্টির
ব্রিটিশ লেবার পার্টির ছায়া চ্যান্সেলর র্যাচেল রীভস্ বলেছেন, যদি তার দল নির্বাচনে জয়লাভ করে তবে কোন জাতীয় বীমা কিংবা আয়কর বৃদ্ধি করা হবে না। গত রোববার তিনি এই প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
তিনি বলেন, লেবার নেতা কেইর স্টারমার ও তিনি উভয়ই শ্রমিক শ্রেনীর মানুষের আয়কর কম রাখার পক্ষে। ঐদিন মিডিয়ায় প্রদত্ত সাক্ষাতকারে তিনি আরো বলেন, তিনি সরকারী ব্যয় কর্তনের পক্ষপাতী নন। অবশ্য তিনি লেবার সরকার কর্তৃক কবে প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপি’র ২.৫ শতাংশে বৃদ্ধি করা হবে, এই মর্মে এজন্য সময়সীমা বেঁধে দিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, সবশেষে আমাদেরকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সাধন করতে হবে, আমাদেরকে এই কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে অনুকূলে নিয়ে আসতে হবে।
ঐদিন রক্ষনশীল দল ও লেবার পার্টি উভয়ই পরস্পরের কঠোর সমালোচনা করে। রক্ষনশীলরা বলে, স্যার কেইর স্টার্মারকে গত রোববার প্রকাশ্যে দেখা যায়নি, প্রচারনা চালানোর মতো জীবনীশক্তির ঘাটতি রয়েছে তার মাঝে। ইতোমধ্যে লেবার পার্টি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী তার সহকর্মীদের নিয়ে গর্তে ঢুকে পড়েছেন এবং তার ম্যানশনে আত্মগোপন করে আছেন।
এর আগে দলগুলো প্রতিরক্ষাসহ অর্থনীতির ওপর তর্কবিতর্কে লিপ্ত হয়। অনুষ্ঠান সম্প্রচারকালে লেবার পার্টির পক্ষে মিস রীভস্ বলেন, আমরা সরকারে একটি কৌশলগত প্রতিরক্ষা পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যাতে প্রতিরক্ষাসহ আমাদের সব ধরনের ব্যয়ের যথার্থতা রক্ষিত হয়। এক্ষেত্রে কিছু সরঞ্জাম ক্রয়ের সংগ্রহ ব্যয় বর্তমান সরকারের অধীনে নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে।
রক্ষনশীলদের বক্তব্য হচ্ছে, ব্রিটিশ তরুনদের সামরিক বাহিনীতে ১২ মাসের একটি পূর্ন সময় কিংবা মাসের একটি সপ্তাহান্তে এক বছরের জন্য অবস্থানের অপশন দেয়া হবে তাদের কমিউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবার লক্ষ্যে। অবশ্য লেবার পার্টি এ ধরনের পরিকল্পনাকে ‘আরেকটি তহবিলহীন প্রতিশ্রুতি’ বলে অভিহিত করেছে।