‘গাজায় আগ্রাসন আঞ্চলিক ইতিহাসে মোড় ঘোরানো ঘটনা’
আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইত বলেছেন, আট মাসেরও বেশী সময় ধরে গাজার বিরুদ্ধে আগ্রাসন আমাদের অঞ্চলের ইতিহাসে একটি মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মতো ঘটনা। তিনি বলেন যে, এই গনহত্যা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অক্ষমতা বিষয়ে একটি গভীর হতাশার অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে।
চীনের বেইজিংয়ে চীন আরব রাষ্ট্রসমূহের ১০ম মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন উদ্বোধন কালে আবু ঘেইত বক্তব্য রাখছিলেন। রায়রোতে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ফোরামে আরবলীগের সদস্যরা অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন। চীনা প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ব্রিটেন, মিশর, তিউনিশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও এতে অংশগ্রহন করে।
আবুল ঘেইত আরো বলেন, ফিলিস্তিনী জনগনের ন্যায্য দাবি, তাদের প্রতিশ্রুতি ও তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে চীনের সুদৃঢ় সমর্থন ও ভূমিকাকে আমরা মূল্যবান মনে করি। তিনি একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়ে বৈশ্বিক জনমত গঠনে অধিকতর তাৎপর্যপূর্ন ভূমিকা পালনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান, যা জেরুসালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের ৪ জুনের সীমানা নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে একটি আস্থাশীল ও অপরিবর্তনীয় পথের লক্ষ্যে নিয়ে যাবে।
আবুল ঘেইত আরো বলেন, আরব লীগ ও এর সদস্য দেশগুলো বিদ্যমান সংকট নিরসন এবং কারোর অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সংকটের সমাধান ও এর বিস্তার রোধের লক্ষ্যে কাজের মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশলিতা বৃদ্ধির পক্ষপাতী। তিনি চীনের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখন্ডতার প্রতি লীগের সমর্থন এবং এক চীন নীতির প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আবুল ঘেইত আরো বলেন, আরব লীগ আরব ও চীনা উভয় সমাজ গঠনে তাদের সকল প্রচেষ্টা চালানোর ক্ষেত্রে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তিনি বলেন, ২০২২ সালে সৌদী আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত প্রথম আরব-চীন শীর্ষ সম্মেলন আরব-চীন সম্পর্কে একটি গুণগত পরিবর্তনের সুচনা করে।