এমআইআর-এর বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে মামলা দায়ের

ব্রিটিশ হোম অফিস ভিসার জন্য সর্বনিম্ন আয়সীমা বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলো তাদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে আনতে সমস্যার সম্মুখীন। তাদের অভিযোগ এটা নারী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টিকারী। বলা বাহুল্য, মোট অভিবাসনের সংখ্যা হ্রাসের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক যেসব পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন, এর একটি হচ্ছে, পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে আনতে ভিসা আবেদনকারীদের সর্বনিম্ন আয়সীমা বৃদ্ধি। আর প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে (এমআইআর বৃদ্ধি) চ্যালেঞ্জ করে যুক্তরাজ্যে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে প্রেশার গুপ রিইউনাইট ফ্যামিলিজ ইউকে (আরএফইউকে) জুডিশিয়াল রিভিউয়ের জন্য একটি আবেদন দাখিল করেছে হাইকোর্টে। তাদের দাবি এধরনের পদক্ষেপ শিশু অধিকার সংক্রান্ত ইউএন কনভেনশনের পরিপন্থী। এধরনের আয়সীমা বৃদ্ধির কোন যথাযথ আইনী ভিত্তি আছে কি-না এবং অফিশিয়াল হোয়াইট পরামর্শের সাথে সংগতি রেখে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কি-না তাই যাচাইয়ের আহ্বান জানানো হয়েছে উক্ত আবেদনে। লক্ষনীয় যে, বিদেশী স্বজনকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসতে আগে একজনের বার্ষিক আয় ২৯ হাজার পাউন্ডের আবশ্যকীয়তা ছিলো, যা এখন বৃদ্ধি করা হয়েছে ৩৮ হাজার ৭ শ’ পাউন্ডে।
হোম সেক্রেটারী জেমস ক্লিভারলি কর্তৃক গৃহীত এই পদক্ষেপের বিষয়ে আরএফইউকে এর বক্তব্য হচ্ছে, নতুন আইনটি ইকুয়েলিটি অ্যাক্ট অর্থ্যাৎ সমতার আইন লংঘন করেছে। কারন নারী, নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীসমূহ এবং তরুনদের ওপর এই আইন বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। গত মঙ্গলবার ঋষি সুনাক ও কেইর স্টার্মার আইটিভিতে নেট মাইগ্রেশন বিষয়ে বিতর্কে অবতীর্ন হবার পর এ বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করা হয়। উভয় দলই বৈধ অভিবাসন হ্রাসে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২০২৩ সালে নেট মাইগ্রেশন বা মোট অভিবাসনের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ লাখ ৮৫ হাজার। গত এপ্রিলে এমআইআর অর্থ্যাৎ মিনিমাম ইনকাম রিকোয়ারমেন্ট আইনটি চালু করা হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button