প্রতিরক্ষা পন্য রফতানীতে তুরস্কের রেকর্ড ৮৭৬ মিলিয়ন ডলার আয়
তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও আকাশ শিল্পখাত বিভিন্ন সরঞ্জাম রফতানী করে গত মে মাসে রেকর্ড ৮৭৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এটা এই খাতে টেকসই প্রবৃদ্ধির লক্ষন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্সী অব ডিফেন্স ইন্ডাষ্ট্রিজের (এসএসবি) প্রধান এই অভিমত ব্যক্ত করেচেন। এসএসবি প্রধান হালুক গরগুন আরো বলেন, রেকর্ড উচ্চতার উচ্চ প্রযুক্তি রফতানীর মাধ্যমে আমরা শুধু টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছি এমন নয়, বরং আমরা আমাদের দেশের ভ্যালু-অ্যাডেড্ রফতানী রেইট বৃদ্ধি করছি প্রতি কেজিতে ৬৫ ডলারেরও বেশী রফতানী মূল্যমান বৃদ্ধির মাধ্যমে।
গত জানুয়ারী-মে মাসসমূহে তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও আকাশ সংক্রান্ত শিল্পখাতে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটে। এর আগের বছর একই সময়ে তা ছিলো ২.২১ বিলিয়ন ডলার।
গত সোমবার ব্যবসা ও বানিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী ওমেন বলাত এই মর্মে ঘোষনা করেন যে, গত মে মাসে দেশের রফতানী রেকর্ড পরিমান ২৪.১ বিলিয়নে উন্নীত হয়। অনেকগুলো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পে গত দুই দশকে একটি গভীর রূপান্তর ঘটে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিলো পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রের ওপর বাহ্যিক নির্ভরতা হ্রাস। আর এক্ষেত্রে জোর দেয়া হয় উদ্ভাবনী প্রকৌশল ও অভ্যন্তরীনভাবে উন্নয়নকৃত প্রযুক্তিসমূহের ওপর। এটা দেশে তৈরী আকাশ, ভূমি ও সামুদ্রিক প্লাটফর্মে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। ফলশ্রুতিতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে তুরস্কের বিদেশ নির্ভরতা হ্রাস পায়। এই নির্ভরতা ২০০০ এর দশকে ছিলো প্রায় ৮০ শতাংশ, বর্তমানে মাত্র ২০ শতাংশ।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইফেস-২০২৪ নামক আন্তর্জাতিক সামরিক মহড়ায় বক্তব্য প্রদানকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান শিল্পখাতটির ওপর আলোকপাত করে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় নৌ প্লাটফর্ম, মানুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) ও জঙ্গী বিমান সহ অন্যান্য প্রোডাক্টের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ২০০২ সাল থেকে আমরা প্রতিরক্ষা শিল্পে দেশীয় উৎপাদনের সর্বোচ্চ বৃদ্ধিতে সকল প্রচেষ্টা নিয়োজিত করেছি। আর এর ফলেই ডিফেন্স ইন্ডাষ্ট্রিতে এমন অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। এভাবে তুরস্ক এ অঞ্চলে একটি অবিচ্ছেদ্য কুশীলবে পরিনত হয়েছে।