১৯৪৫ সালের পর সর্বনিম্ন ভোট পাবে লেবার ও রক্ষণশীল দল
লেবার ও রক্ষণশীল দল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যৌথভাবে সবচেয়ে কম ভোট পেতে যাচ্ছে। দ্য অবজারভারের জন্য অপিয়াম পরিচালিত এক সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ব্রিটেনের জাতীয় নির্বাচনের আর তিন সপ্তাহেরও কম বাকি। এই সময়ে পরিচালিত এই জরিপে লেবার পার্টিকে রক্ষণশীলদের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট এগিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। তবে রিফর্ম ও লিবারেল ডেমোক্রেট দল দুটি প্রত্যেকের ২ পয়েন্ট বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গত নির্বাচনের বিপরীত প্রবণতা এবার লক্ষণীয়। মূল দলগুলো তখন তাদের ক্ষুদ্র প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতি জনসমর্থন সংকুচিত করতে সক্ষম হয়েছিল। অপিয়াম জরিপের গবেষণা অনুসারে, ক্ষুদ্রতর রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সমর্থন ১০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছিল প্রথম ও শেষ নির্বাচনের মধ্যবর্তী ২০১৯ সালের প্রচারণাকালে। ওই সময়ে ক্ষুদ্রতর দলগুলোর ভোটের অংশ ৫ পয়েন্ট বেড়েছিলো।
ওপিয়ামের পলিসি অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স প্রধান জেমস ক্রাউড বলেন, ভোটাররা প্রধান দু‘টি দল থেকে অনেকটাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এ প্রবণতা ২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে প্রচারণার সময় থেকে পরিলক্ষিত হচ্ছে। লেবার ও রক্ষণশীল দল লীজ ট্রাসের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময় থেকে ভোটের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে এটাও দেখা গেছে যে, এই দুটি প্রধান দলের প্রতি নির্বাচনী পয়েন্ট ঐতিহাসিকভাবে নিম্ন।
নির্বাচনী গবেষক ডায়লান ডাইফোর্ড লক্ষ্য করেছেন যে, বর্তমান জরিপ অনুসারে প্রধান দলগুলো ১৯৪৫ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন ভোট লাভের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন যে, ব্রেক্সিটের উত্থানকালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনসমূহ আসলেই ব্যতিক্রমধর্মী হতে পেরেছিলো। উভয় দলের সমর্থনের ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘ মেয়াদী পতনকে তখন আবৃত করে রেখেছিল তৎকালীন পরিস্থিতি।
সর্বশেষ অপিয়াম জরিপে ঋষি সুনাকের অনুমোদন রেটিংয়ে বড় ধরনের আঘাত প্রকাশিত হয়েছে। এখন তার নেট রেটিং -৪০। ২০ শতাংশ তার কর্মকাণ্ড অনুমোদন করছেন এবং ৬০ শতাংশ অনুমোদন করছেন না।