লেবার পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার
লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টার্মার তার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত লেবার মেনিফেস্টো বা লেবার পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেছেন। ৮.৯ বিলিয়ন পাউন্ডের নতুন ট্যাক্স সংগ্রহসহ অধিকতর সম্পদ সৃজন প্রদানের লক্ষ্যে তার পরিকল্পনার মূল নীতিমালা তিনি এতে উপস্থাপন করেন। তিনি অত্যন্ত জোরালোভাবে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন যে, সম্পদ সৃষ্টি তার এক নম্বর অগ্রাধিকার।
এভাবে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের একটি ফ্ল্যাটলাইনড্ অর্থ্যাৎ স্থবির অর্থনীতির ক্ষুব্ধ রক্ষনশীল ভোটারদের চিত্তজয়ের একটি প্রয়াস হিসেবে একটি ব্যবসামুখী ও শ্রমিকমুখী নেতৃত্ব দানে তিনি চেষ্টা করছেন। অবশ্য কেইর স্টার্মার এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যদি লেবার জয়লাভও করে তবুও চ্যালেঞ্জসমূহ রাতারাতি দূর হবে না। আজ তিনি যে ইশতেহার উপস্থাপন করছেন এটা কোন দ্রুত সমাধান নয় বরং পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।
লেবার পার্টির প্রতিশ্রুতির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে ট্যাক্সের স্ফীতি নিম্ন রাখা, এনএইচএসের তালিকাসমূহ দীর্ঘ হওয়া বন্ধ করা, একটি বর্ডার নিরাপত্তা কম্যান্ড বাস্তবায়ন, ‘গ্রেট ব্রিটিশ এনার্জি’ সৃষ্টি এবং সমাজ বিরোধী আচরনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা।
কিন্তু রক্ষনশীলরা লেবার পার্টির এই ইশতেহারের সমালোচনা করে বলেছে, এর অর্থনৈতিক নীতিসমূহ একটি ট্যাক্সের ফাঁদ। ঋষি সুনাকের ভাষায় এটা ইতিহাসের সর্বোচ্চ ট্যাক্স।
লেবার পার্টির মেনিফেস্টো বা ইশতেহারে এনএইচএসে প্রতি সপ্তাহে ৪০ হাজারের বেশী অ্যাপয়ন্টমেন্ট, ক্যান্সার স্ক্যানারের সংখ্যা দ্বিগুনকরণ, সাড়ে ৮ হাজার অতিরিক্ত মানসিক স্বাস্থ্য স্টাফ নিয়োগ, ‘ফ্যামিলি ডাক্তার’ ফিরিয়ে আনা এবং নতুন ডেন্ট্রিস্ট্রি রেসকিউ প্ল্যানের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া এতে ১.৮ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে বন্দরসমূহের আধুনিকায়ন ও সাপ্লাই চেইন গড়ে তোলা, ১.৫ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে নতুন গিগাফ্যাক্টরীসমূহ স্থাপন ও ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে স্টিল ইন্ডাষ্ট্রি পুনর্গঠন এবং জ্বালানী, খাদ্য ও গৃহমূল্য হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।