যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুততম হারে
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব দ্রুততম হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্রেডস ইউনিয়ন কনগ্রেসের (টিইউসি) এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে। এতে দেখা গেছে, অর্গ্যানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কোঅপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) ভুক্ত ৩৮ টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে শুধুমাত্র কোস্টারিকাই যুক্তরাজ্যের মতো এধরনের বেকারত্ব বৃদ্ধির সমস্যা মোকাবেলা করেছে গত জানুয়ারী থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত।
টিইউসি বলেছে, ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রতিটি অঞ্চল এধরনের বেকারত্ব বৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাকুরী কমে যাওয়ার বিরূপ প্রভাব পড়েছে সকল অঞ্চলেই। এক্ষেত্রে অনেক নিয়োগদাতা উপযুক্ত দক্ষতাবিশিষ্ট শ্রমিক না পাওয়ার বিষয়টিও সম্পৃক্ত হয়েছে।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স (ওএনএস) এর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক মাসসমূহে বেকারত্বের হার আরো বৃদ্ধি প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বাগাড়ম্বরের প্রতি একটি বড়ো ধরনের আঘাত হয়ে দেখা দিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, দেশের অর্থনীতি বিপুলভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওএনএস গত মাসে এই মর্মে নিশ্চিত করে যে, অর্থনীতি গত বছরের মন্দা থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং এ বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে এটা ০.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসায়ী নেতৃত্বের মধ্যেকার জরীপে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসের মাত্রা বাড়তে দেখা যায়। এছাড়া গড় ডিসপোজেবল আয়সমূহের লেভেল বৃদ্ধির ফলশ্রুতিতে ভোক্তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। যা-ই হোক, নিয়োগদাতারা এই মর্মে ইংগিত প্রদান করেছেন যে, পুনরুদ্ধার সত্বেও তারা তাদের হেডএকাউন্ট হ্রাস করতে চান।
চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (সিএমআই) কর্তৃক পরিচালিত এক আলাদা জরীপে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাজ্যের অধিক সংখ্যক নিয়োগদাতা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তাদের কর্মতৎপরতা সংকুচিত ও শ্রমিক সংগ্রহ বন্ধের পরিকল্পনা করছেন। সিএমআই এর এই জরীপে দেখা যায়, ৩৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান আগামী ৬ মাসে শ্রমিক সংগ্রহ ২১ শতাংশ বন্ধ বা ২১ শতাংশ হ্রাস করার পরিকল্পনা গ্রহন করেন। এ সংখ্যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশী।