প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যা বললেন স্টার্মার
যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে নিরংকুশভাবে জয়ী হওয়ার পর লেবার পার্টির নেতা ও নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টার্মার বলেছেন, তিনি আগের রক্ষনশীল সরকারের আশ্রয় প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় নির্বাসন সংক্রান্ত অভিবাসন নীতি অব্যাহত রাখবেন না। গত শনিবার নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রুয়ান্ডা স্কীম এখন মৃত এবং শুরুর আগেই এর কবর রচিত হয়েছে। এটা এখন আর কোন প্রতিবন্ধকতা নয়।
তিনি এই মর্মে আরো প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন যে, ভাঙ্গাচোরা এনএইচএস’র অর্থ যোগাতে সারপ্রাইজ ট্যাক্স আরোপ করা হবে না। অভিবাসন সংক্রান্ত রুয়ান্ডা নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রুয়ান্ডা পরিকল্পনা একটি সমস্যা, যা আমাদেরকে অতিক্রম করতে হচ্ছে। রুয়ান্ডা স্কীমের সাফল্যের বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ-সংশয় ছিলো। সংবাদ সম্মেলনে স্টার্মার এই মর্মে আরো নিশ্চিত করেন যে, তিনি যুক্তরাজ্যের চারটি রাজ্যে সফর করবেন এবং সকল নগরীর মেয়রদের সাথে বৈঠক করবেন।
তিনি ‘ট্রাইবাল পলিটিক্স’র অবসান এবং ‘কান্ট্রি ফার্স্ট’ এই মন্ত্রের উত্থান ঘটাবেন উল্লেখ করে বলেন, ‘স্বীয় স্বার্থ’ হচ্ছে গতকালের রাজনীতি। আমি এদেশে এমন রাজনীতি চাই যা আপনাদের কাজে লাগবে। আমার কাছে কান্ট্রি ফার্স্ট এবং দলের অবস্থান দ্বিতীয়। উল্লেখ্য, ডাউনিং স্ট্রিটে তার প্রথম দিনইে প্রদানমন্ত্রী কেইর স্টার্মার র্যাচেল রীভসকে দেশের প্রথম নারী চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগদান করেন।
তিনি ডেভিড ল্যামিকে নিয়োগদান করেছেন গুরুত্বপূর্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে, যিনি গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটেনের ইহিতাসে লেবার পার্টি ৪১২ আসন পেয়ে একটি অন্যতম সর্ববৃহৎ পার্লামেন্টারী মেজরিটি অর্জন করেছে। অপরদিকে পরাজিত রক্ষনশীল দল পেয়েছে মাত্র ১২১ টি আসন। রক্ষনশীল দল দলের শীর্ষ পদ থেকে ঋষি সুনাককে অপসারনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।