ইসরাইলের সাথে ন্যাটোর সহযোগিতার চেষ্টাকে অনুমোদন দেবে না তুরস্ক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান বলেছেন, ন্যাটোর মধ্যে ইসরাইলের সাথে সহযোগিতার কোন প্রচেষ্টা অনুমোদন করবে না তুরস্ক। তিনি বলেন, ইসরাইলী প্রশাসনের প্রতি সহায়তা প্রদান অসম্ভব কারন তারা আমাদের জোটের মৌলিক মূল্যবোধসমূহকে পদদলিত করেছে। এভাবে ন্যাটোর সাথে অংশীদারিত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। তিনি ওয়াশিংটনে ন্যাটো নেতৃবৃন্দের শীর্ষ সম্মেলনের শেষে গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইন আলোচনাকালে এরদোগান অধিকৃত ফিলিস্তিনী ভূখন্ডে বিশেষভাবে গাজায় চলমান ইসরাইলী বর্বরতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসনের সম্প্রসারনবাদী ও বেপরোয়া নীতিসমূহ শুধু তার নিজের নাগরিকদেরই নয় বরং গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিপূর্ন করে তুলেছে। যতোক্ষন না ফিলিস্তিনে একটি টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ততোক্ষন ন্যাটোর মধ্যে ইসরাইলকে সহায়তার প্রচেষ্টাকে অনুমোদন দেবে না তুরস্ক।
তিনি আরো বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বশীল সদস্যরা ১৯৬৭ সালের সীমান্ত রেখার ভিত্তিতে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। একইভাবে সব ধরনের চাপ ও ভীতি প্রদর্শনের প্রচেষ্টা সত্বেও আমরা এই মর্মে সন্তুষ্ট যে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দানকারী দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে এরদোগান বলেন, আমাদের কিছু মিত্র সিরিয়ায় সন্ত্রাসী সংগঠন পিকেকে- এর সঙ্গে যে কূট সম্পর্ক গড়ে তুলেছে, তা মেনে নেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, তুরস্ক কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত পিকেকে পার্টি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত প্রায় চার দশক ধরে তুরস্কে সন্ত্রাসী তৎপরতায় ৪০ হাজারেরও বেশী বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য হত্যার জন্য দায়ী।
তিনি আরো বলেন, তুরস্ক আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আশাবাদী। এক্ষেত্রে আর্মেনীয় প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি।