তুরস্ক স্রেব্রেনিকায় মুসলিম গণহত্যার কথা কখনো ভুলবে না
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিকা গণহত্যার স্মরনে মর্মস্পর্শী বার্তা প্রদান করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কখনো স্রেব্রেনিকা গনহত্যার কথা ভুলবো না। আমরা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে আমাদের বসনীয় ভাইবোনদের স্মরণ করছি, যারা ২৯ বছর আগে স্রেব্রেনিকা গনহত্যায় শাহাদাত বরন করেন। বসনিয়া-হারজেগোভিনায় স্মরন সভায় প্রেরিত এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান স্রেব্রেনিকায় সংঘটিত এবং গাজায় ইসরাইল কর্তৃক চলমান গনহত্যার মধ্যে একটি সমান্তরাল লাইনের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে গাজায় বর্বরতার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা আজ হোক বা কাল হোক আন্তর্জাতিক আইনে জবাবদিহি হবে, ঠিক ১৯৯৫ সালে স্রেব্রেনিকায় সংঘটিত গনহত্যার মতোই।
তিনি আরো বলেন, গনহত্যার সাথে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে তুরস্ক সম্ভব সবকিছু করবে। আজ গাজায় এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনী ভূখন্ডে ফিলিস্তিনীরা যে বর্বরতার শিকার হচ্ছেন, তা ২৯ বছর আগে স্রেব্রেনিকায় সংঘটিত বর্বরতার মতোই।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান জোর দিয়ে বলেন যে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ১৬ হাজার শিশুসহ ৪০ সহস্রাধিক নিরপরাধ মানুষের হত্যাকান্ড শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছে, যেমনটি তারা দেখেছিলো ২৯ বছর আগে স্রেব্রেনিকায়। তিনি আরো বলেন, গোটা বিশ্ব মানবতা ও আন্তরিকতার একটি পরীক্ষার সম্মুখীন। উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে ১১ জুলাই বসনীয় সার্ব বাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় বসনীয় শহর স্রেব্রেনিকা দখলে নেয়, যেখানে একটি জাতিসংঘ বাহিনী কর্তৃক সুরক্ষিত ছিটমহলে বসনীয় মুসলিমরা আশ্রয় নিয়েছিলো। কিন্তু অভিযোগ আছে, জাতিসংঘ বাহিনী আগ্রাসী বসনীয় সার্বদের সেই ছিটমহলে ঢোকার সুযোগ করে দেয়। ফলে বসনীয় সার্ব সৈন্যরা ৮ হাজার অরক্ষিত নিরপরাধ মুসলিম পুরুষ ও বালককে নির্বিচারে হত্যা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে জঘন্য গনহত্যা ছিলো সেটি।