লেবার সরকারকে পাঁচটি বড় সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকার আগামী দিনগুলোতে তার অগ্রাধিকারসমূহ নির্ধারণে প্রথম কিং’স স্পিচ ব্যবহার করেছে। খসড়া আইনে হাউজিং শ্রমিকদের অধিকার, গ্রীন এনার্জি সহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু কিছু কিছু বড় বড় চ্যালেঞ্জ যাকে লেবার উত্তরাধিকারলব্ধ আখ্যায়িত করে তা কিংস স্পীচে সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি বলেছে।
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের অফিশিয়াল পাবলিক সেক্টর পে রিভিউ প্রোসেস সমাপ্ত হবে, তখন এনএইচএস স্টাফ, শিক্ষক, পুলিশ এবং কারাগার রক্ষীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
ইনস্টিটিউট ফর ফিসক্যাল স্টাডিজ এর পরিসংখ্যান অনুসারে, সরকারকে সরকারী খাতের শ্রমিক কর্মীদের পিছিয়ে পড়া প্রতিরোধ কমপক্ষে ৭ বিলিয়ন পাউন্ড অতিরিক্ত বরাদ্দ করা আবশ্যক, অন্যথায় তাদের প্রতিপক্ষ বেসরকারি খাতের তুলনায় তাদের পিছিয়ে পড়া রোধ করা যাবে না।
আইএফএস এর ডাটা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, যেক্ষেত্রে প্রাইভেট বা বেসরকারী খাতের শ্রমিক কর্মীদের মূল্যস্ফীতির সাথে সংগত মজুরী ২০১০ সালের চেয়ে প্রায় ৪ শতাংশ বেশী, তখন সরকারী খাতের মজুরী সেই তুলনায় প্রায় ২.৫ শতাংশ কম । এসময়ে নার্সদের মজুরী ৬.৫ শতাংশ শিক্ষকদের ৯ শতাংশ এবং চিকিৎসকদের মজুরী ১৫ শতাংশ কম।
সরকারের বর্তমান গৃহীত আর্থিক নীতিমালা তার ব্যয় ও করারোপ ক্ষমতাকে সীমিত করে। তাই তাদের পক্ষে বার্ষিক ৭ বিলিয়ন পাউন্ড অতিরিক্ত পাওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হবে।
তবে সরকার যদি এটা করতে ব্যর্থ হয় তবে আরো শিক্ষক ও নার্স সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জটিলতার সম্মুখীন হবে ।
এমনকি সরকারী খাতে এর ফলে আরো ধর্মঘটের ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। বলা বাহুল্য ইংল্যান্ডে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখন আর্থিক সংকটে রয়েছে । এগুলোর মধ্যে ৫টি ইতোমধ্যে দেউলিয়া ২০২৩ সাল থেকে । এ অবস্হায় তাদেরকে স্থানীয় সেবাসমূহ ব্যাপকভাবে কর্তন করতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিং চালর্স পার্লামেন্টে প্রদত্ত এক ভাষণে নতুন লেবার সরকারের আইন প্রণয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন কিং’স স্পীচে। তিনি তার বক্তব্যে ৩৯টি বিলের কথা উল্লেখ করেছেন , যা মন্ত্রীরা আগামী পার্লামেন্টের অধিবেশনে পাস করতে চান।