মানচেষ্টারে মুসলিম যুবককে প্রহারের জেরে পুলিশ কর্মকর্তা সাসপেন্ড
যুক্তরাজ্যের মানচেষ্টার এয়ারপোর্টে একজন মুসলিম যুবককে মাটিতে ফেলে উপর্যুপরি লাথি ও তার মস্তক পদদলিত করার অভিযোগে জনৈক পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে অধিকতর তথ্য পর্যালোচনার পর উক্ত পুলিশ অফিসারকে সকল দায়িত্ব থেকে অপসারন করা হয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইউনিফর্ম ধারী একজন পুরুষ পুলিশ অফিসার ঐ ব্যক্তির ওপর টেসার গান ধরে আছেন এবং অন্য পুলিশ অফিসার তার মাথায় লাথি মারছেন ও পদদলিত করছেন। মানচেষ্টার এয়ারপোর্টের ২ নং টার্মিনালে ঘটনাটি ঘটে।
এসময় একজন মুসলিম মহিলাকে ঐ যুবককে বাঁচানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার লোকজন ঐ মহিলাকে যুবকটির মা বলে শনাক্ত করতে দেখা গেছে। এই নির্মম প্রহারের ঘটনাটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর কয়েকশ’ বিক্ষুব্ধ লোক বৃহত্তর মানচেষ্টার রচডেইল পুলিশ স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ফ্লাইটে আসা ঐ মহিলার সাথে কোন লোকের অবাঞ্ছিত আচরনের জেরে টার্মিনাল হলে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ গ্রেফতার করতে এল এই নির্মম প্রহারের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ বলেছে, একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলে তিনজন পুলিশ অফিসার সহিংসতার শিকার হন। তাদেরকে চার ব্যক্তি ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে একজন নারী পুলিশের নাক ভেঙ্গে যায় এবং তাদের সবাইকে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করতে হয়।
এসব সত্বেও বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন, কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ পুলিশ কর্মকর্তাদের আরো সহনশীল ও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন। পুলিশের ওপর চড়াও হওয়া ঐ চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মারামারি ও ইমার্জেন্সী সার্ভিস ওয়ার্কারদের ওপর হামলা অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অবশ্য পরে তারা জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক চীফ সুপারিনটেন্ডেন্ট দাল বাবু বলেন, পুলিশের তৎপরতা ছিলো দু:খজনক ও অপ্রয়োজনীয়। তার মতে, এ ঘটনার পেছনে তাৎপর্যপূর্ন বর্নবাদী মানসিকতা কাজ করেছে। রচডেইল কমিউনিটি অ্যালায়েন্সের উসমান নওয়াজ বলেন, ফুটেজের ঘটনাটি মারাত্মক বিব্রতকর এবং এটা এদেশে স্বীকৃত পলিসিংয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়।