গাজা হত্যাকান্ডের জন্য ইসরাইলকে জবাবদিহিতায় আনতে হবে
তুরস্ক বলেছে, গাজা উপত্যকায় হত্যাকান্ডের হোতাদের জবাবদিহি করতে হবে। তাদেরকে শাস্তি ছাড়া ছেড়ে দেয়া হবে না। ইস্তান্বুলে একটি যৌথ প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য প্রদানকালে তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান জোর দিয়ে বলেন যে, গাজায় মানবিক সাহায্য প্রদানের অনুমতি দিতে এবং ফিলিস্তিনী জনগনের আরো দুর্ভোগ লাঘবে ইসরাইলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি গুরুত্বপূর্ন। এসময় মন্টিনিগ্রোর ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরভিন ইব্রাহিমোভিক উপস্থিত ছিলেন।
ফিদান হাকান আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আনীত গনহত্যার অভিযোগের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং আইনী প্রক্রিয়ায় তুরস্কের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
গত বুধবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিন আফ্রিকার গনহত্যা সংক্রান্ত মামলায় অন্তর্ভুক্তির জন্য তুরস্কের একটি আইনী প্রতিনিধি দল ৪০ পৃষ্ঠার একটি ইশতেহার বা ঘোষনাপত্র দাখিল করেন। এই পদক্ষেপ গাজায় ইসরাইলী হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন জোরদারে আংকারার প্রয়াস।
ইশতেহার বা ঘোষনায় গাজা উপত্যকায় ইসরাইলী হামলার বিবরন তুরে ধরে এই মামলায় তুরুস্কের যোগদানের যথার্থতা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আদালতের নজিরসমূহ এবং ফিলিস্তিনে ইসরাইলী জবরদখর সম্পর্কে আদালতের এডভাইজারি রুলিং অর্থ্যাৎ পরামর্শমূলক নির্দেশনা মেনে ঘোষনাপত্রটি দাখিল করা হয়।
ফিদান আরো বলেন, এ অঞ্চল আর কোন উত্তেজনা, সংঘাত কিংবা যুদ্ধ সহ্য করতে অপারগ। ইসরাইলকে অবশ্যই থামতে হবে।
ফিদান এই বার্তা ঐসব দেশের প্রতি পাঠান যারা ইসরাইলকে বিনাশর্তে সহায়তা করছে এবং তাকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। তিনি আরো বলেন, এটা স্পষ্ট কে উত্তেজনার বিস্তৃতি ঘটাচ্ছে। নিরপরাধ পক্ষকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য ইসরাইলের কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে। ইসরাইলকে যারা নি:শর্তভাবে সহায়তা দিচ্ছে তারাই গাজায় হত্যাকান্ডের সহযোগী।