ইসরাইলে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র রপ্তানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
সম্প্রতি লন্ডনের হাইকোর্টে এনজিও’রা মামলা দায়ের করেছে যুক্তরাজ্য কর্তৃক ইজরাইলে অস্ত্র বিক্রির লাইসেন্স প্রদান প্রতিরোধে। এতে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোকে ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রির অনুমতি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। মামলার আবেদনে দাবি করা হয়, ফিলিস্তিনিরা ইসরাইল কর্তৃক নির্যাতিত হচ্ছে, বিনা চিকিৎসায় পড়ে আছে হাসপাতালে এবং অব্যাহত বোমাবর্ষণ থেকে রেহাই পেতে ব্যর্থ হচ্ছে। এদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের জনৈক কর্মকর্তা যুক্তরাজ্য কর্তৃক ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন।পদত্যাগকারী কর্মকর্তা মার্ক স্মিথ বলেন, যুক্তরাজ্য সরকার যুদ্ধাপরাধে যুক্ত থাকতে পারে।
ফিলিস্তিনি জনগণ, গাজায় হাসপাতালসমূহে কর্মরত পশ্চিমা মেডিকেল চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স চালক, সিভিল ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টের কর্মী ও ত্রাণকর্মীদের ১৪ জনের সাক্ষ্য সম্বলিত শতাধিক পৃষ্ঠার এই আবেদন দাখিল করা হয়েছে হাইকোর্টে। আবেদনে এই মর্মে আদালতের একটি আদেশ প্রদানের অনুরোধ করা হয়েছে যে, যুক্তরাজ্য সরকার ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি প্রত্যাখ্যান করে অযৌক্তিক কাজ করেছে। সরকার অযৌক্তিকভাবে দাবী করেছে যে, অস্ত্রগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন-লঙঘনে ব্যবহৃত হওয়ার ঝুঁকি স্পষ্ট নয়।
এটা সরকারের জন্য আইনগত পরীক্ষা যে, সরকার অস্ত্র রপ্তানির লাইসেন্স অনুমোদন করে কিনা। নেবার সরকার নীতিটি পর্যালোচনা করছে। আল- হক, মুবার লিগ্যাল একশন নেটওয়ার্ক (গ্ল্যান), অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অক্সফ্রেম ও হিউমান রাইটস ওয়াচসহ এনজিওদের একটি গ্রুপ এই মামলা দায়ের করেছেন। ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সগুলোর দাবি, তারা মানবাধিকার আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে আত্মরক্ষার্থে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে এবং অসদাচরণের সকল ঘটনা স্বাধীনভাবে তদন্ত করছে।
যুক্তরাজ্যের পূর্বতন রক্ষণশীল প্রশাসন ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রির লাইসেন্স প্রদান অব্যাহত রাখার ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করে। গাজা চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী জনৈক কানাডিয়ান কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বেন থমসন বলেন, তিনি ষাট বছর বয়সী এমন একজন গাজার বাসিন্দার চিকিৎসা করেন যাকে পিছন দিকে হাত বেঁধে রাখা হয় তিন দিন এবং মেঝেতে ফেলে তাকে টেনে নিয়ে যায় ইসরাইলি সৈন্যরা। এছাড়া ৪৮ ঘন্টা তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়।