বর্ণবাদ উস্কে দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্যকে জাতিসংঘের নিন্দা

জাতিসংঘের বর্ণবাদ বিরোধী কমিটি যুক্তরাজ্যের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করেছে। চলতি গ্রীষ্মে ঘৃণা ও মিথ্যা তথ্যের ইন্ধনে সৃষ্ট দাঙ্গা পরবর্তী অব্যাহত ঘৃণা সূচক কর্মকান্ড, হেইট স্পিচ, ও উগ্র জাতীয়তাবাদী তৎপরতার জন্য এই নিন্দা জানানো হয়েছে, যা গোটা দেশকে আক্রান্ত করে। জাতিসংঘের কমিটি অন দে ইলিমিনেশন অফ রেসিয়েল ডিসক্রিমিনেশন (সি আই আর ডি) বলেছে, বিভিন্ন প্লাটফর্মে বর্ণবাদী বক্তব্যের উপস্থিতিতে তারা উদ্বিগ্ন বিশেষভাবে যেসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও সুপরিচিত ব্যক্তিরা এসব তৎপরতার সাথে জড়িত।
এছাড়া জাতিসংঘের এই কমিটি তাদের সর্বশেষ অধিবেশনে পর্যালোচনা শেষে বেলারুশ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, ইরান ইরাক, পাকিস্তান ও ভেনেজুয়েলা সংক্রান্ত তাদের প্রাপ্ত বিষয়ও ইস্যু করেছে। এক বিবৃতিতে সি ই আর ডি বলেছে যে, চরম ডানপন্থী ও শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী কর্তৃক নৃগোষ্ঠী, অভিবাসী, শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে উপর্যুপরি বর্ণবাদী হামলা ও সহিংসতার ব্যাপারে তারা উদ্বিগ্ন। এছাড়া গত জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত সহিংসতার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় বিবৃতিতে।
তিনটি শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদী উগ্রতা ও মিথ্যা তথ্য দাঙ্গা ও অস্থিতিশীলতায় ইন্ধন জোগায়। এতে দেশব্যাপী তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় জুড়ে সহিংসতা মূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়।
গ্রেফতার করা হয় ৬শ ব্যক্তিকে।
চরম ডানপন্থী গ্রুপগুলো পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শহরে, যাতে আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয়ের বাড়িঘর ও হোটেলসমূহে অগ্নি সংযোগ করা হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় মসজিদ এবং নৃগোষ্ঠী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। অভিবাসন ও মুসলিম বিরোধী কর্মীরা বিশেষভাবে টমি রবিনসন হিসেবে পরিচিত উগ্র ডানপন্থী নেতা স্টিফেন ইয়াক্সলি-লেনন অনলাইনে বিক্ষোভকে উস্কে দেয়। অবশ্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মিডিয়াম মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্য তাকে অভিযুক্ত করে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button