বায়রাক্তার ড্রোন কোম্পানির মালিক ভ্রাতৃদ্বয় তুরস্কের শীর্ষ করদাতা

মনুষ্যবিহীন বায়রাক্তার ড্রোন প্রযুক্তির অগ্রপথিক সেলজুক বায়রাক্তার ও হালুক বায়রাক্তার ভ্রাতৃদ্বয় এখন তুরস্কের শীর্ষ করদাতা। বিশ্ব বিখ্যাত বায়রাক্তার ড্রোন রপ্তানি তাদেরকে এ পর্যায়ে উন্নীত করেছে। পরপর তিন বছর ধরে তারা দেশটির শীর্ষ করদাতা। তাদের এই করের পরিমাণ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। ২০২১ সালে সেলজুক বায়রাকতার ১৫৩ মিলিয়ন তুর্কি লিরা অর্থাৎ ৪৫ লাখ ডলার এবং তার ভাই হালুক বায়রাক্তার ১৪৩ বিলিয়ন তুর্কি লিরা অর্থাৎ ৪২ লাখ মার্কিন ডলার আয়কর পরিশোধ করেন।
২০২২ সালে ওই পরিসংখ্যান যথাক্রমে ৫৬৪ মিলিয়ন ও ৩১৯ মিলিয়ন তুর্কি লীরায় উন্নীত হয়। ২০২৩ সালে আয়করের ক্ষেত্রে আগের রেকর্ড ভঙ্গ করেন। তারাও উভয়ে যথাক্রমে ১.৯৫ বিলিয়ন ও ১.৪৮ বিলিয়ন তুর্কি লিরা আয়কর প্রদান করেন।
তিন বছরে তাদের উভয়ের আয়কর দাঁড়ায় ৪.৮ বিলিয়ন তুর্কি লিরা। সেলজুক বায়রাক্তার ড্রোন কোম্পানির চেয়ারপারসন এবং হালুক চিফ টেকনোলজি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া হালুক কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজারও।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও এরোস্পেস খাতের অগ্রগতির প্রতীক বায়রাক্তার। তাদের ইউএভি ও কমব্যাট ড্রোন রপ্তানির মাধ্যমে তুরস্কের রাজস্ব খাতের বড় অংশ অর্জিত হয়। ২০২৩ সালে বায়রাক্তারের রাজস্বের ৯০ শতাংশ আসে বৈদেশিক বাজার থেকে। কোম্পানির রপ্তানি ৫০ শতাংশ বেড়ে ১.৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। আগের বছর অর্জিত হয় ১.২ বিলিয়ন ডলার।
এমন অগ্রগতি বায়রাক্তারকে তুরস্কের সকল সেক্টরের মধ্যে শীর্ষ দশে নিয়ে গেছে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে কোম্পানিটি ৩৪ টি দেশের সাথে বায়রাক্তার টি বি-টু ড্রোন রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এছাড়া দশটি দেশের সাথে ড্রোন রপ্তানির চুক্তি স্বাক্ষর করে। এসব দেশ তিন মহাদেশ জুড়ে বিস্তৃত। কোম্পানির জিএম হালুক বায়রাক্তার বলেন, এত বিপুল ট্যাক্স বা রাজস্ব প্রদান শুধুমাত্র একটি দায়িত্বই নয় বরং দেশের সেবা করার সবচেয়ে সম্মানজনক পন্থা। ২০০৩ সালে আমরা যে আয়কর দিয়েছি তা প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই সাফল্য ২৫ বছরের স্বপ্ন, অধ্যবসায় ও নিবেদিত প্রাণ প্রচেষ্টার ফসল।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button