যুক্তরাজ্যে ইসলামী ব্যাংকিং ৮.২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত
যুক্তরাজ্যে ইসলামী ব্যাংকগুলোর সম্পদ ২০২৩ সালে ২৬ শতাংশ বেড়ে ৮.২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। এটা শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংকিং এর একটি পশ্চিমা কেন্দ্রস্থল হিসাবে যুক্তরাজ্যের অবস্থানকে দৃঢ়তর করেছে। ফিটচ্ রেইটিং তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে মধ্য মেয়াদে যুক্তরাজ্যের ইসলামী অর্থনীতি শিল্প খাত ১৫ বিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে। যা ২০২৩ সালের শেষভাগের ১০ বিলিয়ন থেকে এই বৃদ্ধি।
এই বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে একটি প্রচলিত ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তর, ইসলামী ব্যাংকসমূহে অব্যাহত সম্পদ বৃদ্ধি এবং সহায়ক বিধি-বিধান। এটা ওই বিষয়ে আলোকপাত করে যে, লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ এখন ইউএস ডলার সুকুকের বিশ্বব্যাপী তালিকাবদ্ধ তৃতীয় বৃহত্তম স্থল। চলতি বছরের প্রথম অর্ধভাগের শেষে যা ছিল প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার। সুকুক ইসলামী বন্ড হিসেবে পরিচিত একটি শরিয়াভিত্তিক ঋণপত্র, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা মেয়াদ পূর্তির পূর্ব পর্যন্ত ইসুকারীর সম্পদের আংশিক মালিকানা লাভ করে থাকেন।
২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর ইসলামী অর্থনীতির পালে হাওয়া লাগে। মানুষ আকৃষ্ট হন এই অধিকতর নিরাপদ বিকল্পের প্রতি। পাশ্চাত্যে শরিয়া ভিত্তিক অর্থনীতির একটি অন্যতম প্রধান কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠে লন্ডন। লুক্সেমবার্গ, যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ডের মতো দেশও সুকুকের উল্লেখযোগ্য আঁতুড় ঘর হয়ে উঠে।
ফিটচ জানিয়েছে, ইংলিশ আইন অধিকাংশ ডলার সুুকুকের এবং বৈশ্বিক ইসলামী সিন্ডিকেশনের নিয়ন্ত্রণকারী আইন। যুক্তরাজ্যের ব্যাংকগুলো প্রধান সুকুক ব্যবস্থাপনাকারীদের অন্যতম এবং ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য ডেরিয়েটিভ কাউন্টারপার্ট। ফিটচ্ আরো বলেছে, বহু দেশে তাওয়াররুক চুক্তির মাধ্যমে নগদ অর্থায়নের সুবিধা প্রদানের জন্য ইসলামী ব্যাংকসমূহ ‘লন্ডন মেটালস এক্সচেঞ্জ” এর সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। তাওয়াররুক পণ্য ধারে ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত।