মার্কিন নির্বাচনে গাজা নিয়ে উত্তাপ
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আলোড়িত হচ্ছে এক অভূতপূর্ব উত্তেজনাপূর্ণ ইস্যুর দ্বারা। এর একটি হচ্ছে অর্থনৈতিক ইস্যু এবং অপরটি হচ্ছে চলমান গাজা সংকট। যখন মার্কিনীরা অর্থনৈতিক সমস্যা ও মূল্যস্ফীতির দ্বারা জর্জরিত ও হতাশ তখন এর সাথে যুক্ত হয়েছে ফিলিস্তিনি ছিটমহলে অর্থাৎ গাজায় ইসরাইলি কর্মকান্ডকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমর্থনের বিষয়টি, যা অনেকের মতে গণহত্যামূলক।
গত সপ্তাহে ইলিয়নয়েস অঙ্গরাজ্যের শিকাগোতে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে বিশিষ্ট নির্দলীয় সিনেটন বার্নি স্যান্ডারস গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালে, তা ব্যাপকভাবে স্বাগত হয়। তিনি সরকারের ইসরাইলপন্থী নীতিমালা বিরোধী। ইনস্টিটিউট ফর সোশ্যাল পলিসি এন্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর গত এপ্রিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট গাজায় স্থায়ী যুদ্ধ বিরতির পক্ষে। মুসলিম ভোটারদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ ডেমোক্রেট ও ৭২ শতাংশ রিপাবলিকান এবং ৯১ শতাংশ অনিশ্চিত প্রকৃতির ভোটার বলেন, গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ২০২৪ সালের ভোটে কোন প্রার্থীকে তাদের সমর্থনদানের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে। চলতি ইপসোস পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৭৭ শতাংশ মার্কিনী বিশ্বাস করেন যে, জো বাইডেন এর প্রশাসনের অর্থনৈতিক ও মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত নীতিসমূহ ভুল পথে চালিত।
অপরদিকে ৫৫ শতাংশ নাগরিক মনে করেন, তার বৈদেশিক নীতি অগ্রহণযোগ্য। মুসলিম আমেরিকান গ্রুপসমূহ ও অন্যান্য ও অসিদ্ধান্তকৃত ভোটাররা নির্বাচনী আলোচনা বা সংলাপে একটি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। চারদিনের এই ডেমোক্রেটিক কনভেনশনে এসব গ্রুপ কনভেনশন সেন্টার এর চারদিকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীরা গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার দাবি জানান।
মিনেসোটা ও জর্জিয়ার প্রতিনিধি ইলহান ওমর ও রুয়া রুম্মানের মত বিশিষ্ট ব্যক্তি এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। তারা ন্যায্য দাবির পক্ষে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন। অবশ্য অনুরোধ সত্বেও রুম্মানকে কনভেনশনে বক্তব্য রাখতে দেয়া হয়নি। তাকে বক্তব্য রাখতে দেয়া হয়নি এজন্য যে, এতে যদি এই প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে একজন ইসরাইলের চেয়ে একজন ফিলিস্তিনের জীবনের মূল্য বেশি।