স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের শর্ত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ কিংবা ফিলিস্তিন সংক্রান্ত কোনো পরিকল্পনাকেই সমর্থন করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সৌদি আরবের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের সাবেক প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল ফয়সল বলেছেন, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরাইলের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ সম্ভব নয়।
সম্প্রতি লন্ডন ভিত্তিক থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউসের সাথে আলোচনাকালে যুক্তরাষ্ট্রে সৌদী দূতের দায়িত্ব পালনকারী সাবেক এই রাষ্ট্রদূত গাজা যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকীর প্রাক্কালে শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বৈরিতা আরও বিস্তৃত হওয়ার পূর্বে কিভাবে ইতিবাচক আলোচনা করা যায় তা নিয়েও কথা বলেন।
তুর্কি বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা শক্তিশালী করা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে পুনরায় আলোচনা শুরুর ব্যাপারে আগ্রহী। তবে ইসরাইল যদি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মেনে নেয় তবেই ইসরাইলের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনি ও মার্কিনীদের মধ্যে কি ঘটছে তা আমি জানিনা বিধায় এ নিয়ে কথা বলতে চাইনা।
অপরদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সম্প্রতি বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত যুদ্ধোত্তর গাজা নিয়ে কোন পরিকল্পনাকে সমর্থন জানাবে না, যদি এতে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত না থাকে।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে থাকবে এবং তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারকে সমর্থন করে যাবে। এক বিবৃতিতে দেশটির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রীম বিনতে ইব্রাহিম আল হাসিমি একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থন পুন:ব্যক্ত করেন এবং একটি আন্তর্জাতিক মিশনের আহ্বান জানান, যে মিশন যুদ্ধোত্তর গাজায় শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও মানবিক সংকট মোকাবেলায় সহায়তা করবে।