জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের জন্য ন্যায়বিচার চাইবেন এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান চলতি সপ্তাহে নিউইয়র্কে যাচ্ছেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দানের জন্য। তিনি তার ভাষনে ফিলিস্তিনের জন্য বিশেষভাবে ইসরাইলী হামলার শিকার গাজার জন্য ন্যায় বিচারের আহ্বান জানাবেন। জাতিসংঘের এই অধিবেশনে পরাশক্তি সমূহের রাষ্ট্রপ্রধানরা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন, যা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
এরদোগান ১৪তম বারের মত এবার এই অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘের মতো বিশ্বসংস্থার সংস্কারের জন্য উপর্যুপরি দাবী জানিয়ে আসছেন। তিনি জাতিসংঘের ‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পাঁচটি বড় দেশের চেয়ে বিশ্ব আরো বড়’ বলে একটি মতবাদ তুলে ধরে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পরাশক্তিসমূহ ছাড়া অন্যান্য দেশগুলো কিংবা ইউরোপীয় অন্যান্য দেশগুলোর দৃশ্যমান কোন ক্ষমতা নেই এমন সমালোচনাও তিনি করে আসছেন। একইভাবে আগামী মঙ্গলবার তিনি তার নির্ধারিত বক্তব্যে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য পদের জন্য দাবি এবং আরো অধিক সংখ্যক দেশ কর্তৃক ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি প্রদানের আহ্বান জানাবেন। একই সাথে গাজা যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হওয়ার প্রাক্কালে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বর্বররোচিত হামলা বন্ধে ইসরাইলের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাবেন।
তিনি শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের উপর জোর দেবেন। বলাবাহুল্য, তুরস্ক ইসরাইলের একটি কড়া সমালোচক দেশ। এরদোগান প্রায়ই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে এডলফ্ হিটলারের সাথে তুলনা করে থাকেন। গত মে মাসে তুরস্ক ইসরাইলের সাথে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করে গাজায় হামলার জন্য।
গত আগস্টে তুরস্ক আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার জন্য দেশটির বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার পদক্ষেপে যুক্ত হওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানায়। এরদোগান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলায় সহায়তা প্রদানের জন্য দেশসমূহকে আহ্বান জানাবেন।