‘ব্রিটিশ সরকারের আচরন অত্যন্ত দু:খজনক’
‘মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন’ (এমসিবি) এর প্রধান সংস্থাটির সাথে ব্রিটিশ সরকারের অসম্পৃক্ততার নীতির ব্যাখ্যা প্রদান ও পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। গ্রীষ্মকালে দাঙ্গার সময় আবেদন সত্বেও যোগাযোগ না করায় সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
এমসিবি’র প্রধান জারা মোহাম্মদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যখন উশৃঙ্খল জনতা মুসলিম লোকজন ও মসজিদসমূহকে টার্গেট করে তখন নতুন সরকারের সাথে যোগাযোগের অভাব সম্পূর্ন দু:খজনক। জারা বলেন, যখন লেবার পার্টি বিরোধী দলে ছিলো তখন এমসিবি লেবারের ছায়ামন্ত্রী সভার সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলো। এমনকি ২০২১ সালে জারা মোহাম্মদ ও কেইর স্টার্মারের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে তারা মুসলিম কমিউনিটিগুলোর সাথে সম্পৃক্ততার গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন।
জারা বলেন, দাঙ্গার সময় ডাউনিং স্ট্রিট মুসলিমদের বিরুদ্ধে উত্থিত বিপদ নিয়ে আলোচনা প্রচেষ্টা অস্বীকার করেছে। উত্তর আয়ারল্যাঅন্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার মিচেল ও’ নিল এবং সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তারা বেলফাস্টে জারার সাথে কথা বললেও ডাউনিং স্ট্রিটের কর্তারা কথা বলেননি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের পর থেকে কোন কর্মকর্তা সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করেননি এবং যখন দাঙ্গা সংঘটিত হয়, ‘আমাদের প্রত্যাশা কী আর আমরা আছি কোথায়’ এ প্রশ্ন আমার মনে জেগেছে।
এমসিবি’র মহাসচিব ৩৩ বছয় বয়সী জারা মোহাম্মদের পদের মেয়াদ আগামী বছরের জানুয়ারী শেষ হবে। তিনি এই মর্মে আশা প্রকাশ করেন যে, ব্রিটিশ মন্ত্রীরা যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম, মুসলিম আম্ব্রেলা গ্রুপ এমসিবি’র প্রতি সরকারের হতবুদ্ধিকর অ্যাপ্রোচ বা কর্মকান্ড এখন পর্যালোচনা করা উচিত, যে গ্রুপের মসজিদ, স্কুল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানসহ ৫ শতাধিক তালিকাভূক্ত সদস্য রয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত রক্ষনশীল সরকারের এমসিবি’র সাথে সম্পৃক্ত হবে না বলে একটি নীতি ছিলো। ২০০৯ সালে এমসিবি’র ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল দাউদ আব্দুল্লাহ ইস্তান্বুল ঘোষনা নামে একটি দলিলে স্বাক্ষর করেন। এতে গাজায় হামাসের জন্য অস্ত্র বন্ধের চেষ্টা করলে ব্রিটিশ রয়াল নেভীর ওপর হামলার পক্ষে বক্তব্য ছিলো। এর ফলে ব্রিটিশ সরকার মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন অর্থ্যাৎ এমসিবি’র ওপর ক্ষুব্ধ হয়।