নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারে বাধা কোথায়?
হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনীর হত্যাযজ্ঞের জন্য দায়ী ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে কেনো গ্রেফতার করছে না সেজন্য সমালোচনার সম্মুখীন। আদালতটি গনহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তদন্ত ও বিচার করে থাকে।
লক্ষনীয় যে, আদালতটির পূর্বের সিদ্ধান্তসমূহের দিকে তাকালে এসব সমালোচনা যে অন্যায় তা বলা যাবে না। সর্বশেষ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ। আদালতে অনুরোধ জানালে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে রাশিয়ান কমিশনার ফর চিলড্রেনস্ রাইটস্ মারিয়া লুভোভা বেলোভার প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু ৪ মাস পরেও কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন না করায় আদালতের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।
এখানে স্মরনযোগ্য যে, ৭ অক্টোবর বা এরপর গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট এবং হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃবৃন্দ ইয়াহিয়া সিনওয়ার, ইসমাইল হানিয়া (এখন মৃত) ও মোহাম্মদ আল দেইফ এই ৫ জনকে গ্রেফতারের জন্য ২০০২ সালের ২০ মে আদালতকে অনুরোধ জানান এটর্নী জেনারেল করিম খান।
আন্তর্জাতিক আদালতে দাখিলকৃত গ্রেফতারি পরোয়ানার নথি পর্যালোচনা করেন ৬ সদস্য বিশিষ্ট নিরপেক্ষ ফিল্ড এক্সপার্টদের আন্তর্জাতিক প্যানেল। পর্যালোচনা শেষে তারা নিশ্চত করেন যে, বাদী কর্তৃক সংগৃহীত প্রমাণাদির ভিত্তিতে গ্রেফতারী পরোয়ানা যথাযথ। এটর্নী জেনারেল খান বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর জন্য যথেষ্টের চেয়ে বেশী মামলার প্রমান রয়েছে। আদালত যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করবে এমন প্রত্যাশা তিনি ব্যক্ত করেন।
এতোসব আইনী যথার্থতা থাকা সত্বেও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এখনো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না করায় আদালতের উপর চাপ আছে মর্মে গুজব ডালপালা মেলছে।