গাজায় শান্তির জন্য জাতিসংঘের প্রতি তুরস্কের বল প্রয়োগের আহ্বান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান গত মঙ্গলবার ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আরেকটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি জাতিসংঘে গাজায় বেসামরিক লোকজন হত্যা বন্ধে শক্তি প্রয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা ও এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যখন অবস্থা এমন যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২৭৩৫ নং প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হচ্ছে না, তখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দানকালে এসব বলেন। তিনি বলেন, যেহেতু ইসরাইলের অবস্থান আবারও প্রদর্শিত হয়েছে, তখন ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের জন্য একটি সুরক্ষা গড়ে তোলা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উচিত বল প্রয়োগের জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে পরামর্শ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা, যেক্ষেত্রে ১৯৫০ সালের ইউনাইটিং ফর পিস রিজোলিউশনে বলা হয়েছে, স্থায়ী সদস্যদের সর্বসম্মত হওয়ার ক্ষেত্রে ঘাটতি হলে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সাধারণ পরিষদ বিষয়টি গ্রহণ করবে। বলা বাহুল্য, জাতিসংঘের ম্যান্ডেট হচ্ছে, যুদ্ধাবসান এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বিধান। গত বছর দেখা গেছে যে, তা সব সময় সম্ভব নয়।
গাজা যুদ্ধে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৪১ হাজার ফিলিস্তিনি। যুদ্ধটি গোটা অঞ্চলে বিস্তৃত হচ্ছে। নিষ্ক্রিয়তার সাথে ইচ্ছার অভাব জাতীয়সংঘ ও তার নিরাপত্তা পরিষদকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে রেখেছে। উপর্যুপরি রাজনৈতিক স্বার্থ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বিরোধ সংস্থাটির কার্যকলাপকে বিঘ্নিত করছে।
বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষকদের মতে ইতোপূর্বে ইরাক, লিবিয়া ইত্যাদি দেশে জাতিসংঘের বল প্রয়োগ নীতির অনুশীলন করতে দেখা গেছে। তাই গাজার ক্ষেত্রে বল প্রয়োগ অসম্ভব নয়। জাতিসংঘের তা করার বৈধ কর্তৃত্ব রয়েছে।